নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন বহাল

পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া নাশকতার মামলায় কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এখন তাদের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি এদিন আপিল বিভাগের কার্যতালিকার শীর্ষে ছিল।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।

এর আগে বুধবার সকালে মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম আবেদন মঞ্জুর করে রবিবার নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

সেই পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিননামা দাখিল করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছিলেন চেম্বার বিচারপতি।

এর আগে ৪ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মির্জা ফখরুল-আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন। গত ৩ জানুয়ারি বিএনপির এই দুই নেতার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
গত ২১ ডিসেম্বর বিএনপির কারাবন্দি এই দুই নেতার জামিন আবেদন চতুর্থবারের মতো নাকচ করে আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান।

এরও আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তারও আগে গ্রেপ্তারের চারদিন পর ১২ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত একই মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের পর ৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।

পরদিন দুপুরে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ওইদিন বিকালে মির্জা ফখরুল আর আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পল্টন থানার পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তবে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে যে মামলা করেন সেটির এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

Share this news on:

সর্বশেষ