কর ফাঁকির অভিযোগ ঐশ্বরিয়ার বিরুদ্ধে

অভিনেত্রী-প্রযোজক আনুশকা শর্মার পর এবার কর ফাঁকির অভিযোগ উঠল সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূকে।

ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, সোমবার ওই নোটিশ ইস্যু করা হয়। মহারাষ্ট্রের থানগাঁও এলাকার কাছে স্থিত আদবাড়ির পার্বত্য অঞ্চলে এক হেক্টর জমি রয়েছে ঐশ্বরিয়ার। ওই জমির জন্য বার্ষিক ২২ হাজার টাকা দিতে হয় অভিনেত্রীকে।

তবে অভিযোগ, গত এক বছর তিনি জমির সেই কর দেননি। প্রশাসনের তরফ থেকে তাকে কর দেওয়ার একাধিক সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবুও নাকি তিনি ওই কর জমা দেননি। সেই কারণেই আয়কর বিভাগ রাই সুন্দরীর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে।

ঐশ্বরিয়াসহ এরইমধ্যে ১২০০ জনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে ভারতের আয়কর বিভাগের তরফ থেকে। যদিও ঐশ্বরিয়া তাকে নোটিশ পাঠানো সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি। তবে শোনা যাচ্ছে, জরিমানা দিতে হবে অভিনেত্রীকে।

জিকিউয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঐশ্বরিয়ার সম্পত্তির পরিমাণ ৭৭৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ অনেকটাই বাড়ার কথা। কারণ, পোন্নিইন সেলভান থেকে ১০ কোটি টাকা আয় করেছেন তিনি। ছবিটি দুরন্ত ব্যবসা করেছে। ফলে মুনাফার অংশও পেয়েছেন।

আজকাল খুব বেশি ছবিতে কাজ করেন না ঐশ্বরিয়া। বরং ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট বেশি করেন। বর্তমানে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন থেকে ৮০-৯০ কোটি টাকা আয় করেন রাইসুন্দরী। যে বিজ্ঞাপনের শুটিং একদিনে শেষ হয়ে যায়, তার জন্য ছয় থেকে সাত কোটি টাকা নেন তিনি।

জমি এবং বাড়ি কেনার অভ্যাস রয়েছে ঐশ্বরিয়ার। নিজের পরিবারের সঙ্গে জলসাতেই থাকেন নায়িকা। ১১২ কোটি টাকার বাংলোটি অমিতাভ বচ্চনের নামে রয়েছে। তবে দুবাইয়ের স্যাংচুয়ারি ফলসের বিলাসবহুল ভিলার যৌথ মালিক ঐশ্বরিয়া ও তার স্বামী অভিষেক বচ্চন।

এছাড়া বান্দ্রায় ২১ কোটি টাকার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে ঐশ্বরিয়ার।

Share this news on: