ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আবার ফিরল ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’

২৭ বছর আগে “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে” সিনেমার মধ্যে দিয়েই পরিচালক হিসেবে আদিত্য চোপড়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিং অব রোমান্স হিসেবে শাহরুখ খানেরও আলাদা একটা পরিচয় দাঁড়ায়। নব্বইয়ের দশকে এ রোমান্টিক চলচ্চিত্রটি দর্শকদের হৃদয়ে আলাদাভাবে দাগ কেটেছিল।

দর্শকরা চাইলে আবারও বড় পর্দায় শাহরুখ-কাজলের সেই ঐতিহাসিক রসায়ন উপভোগ করতে পারেন। আসন্ন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে ভারতজুড়ে আবারও বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে পুনরায় মুক্তি দেওয়া হবে “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে” সিনেমাটি। বৃহস্পতিবার সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মসের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের মোট ৩৭টি শহরে ফের “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে” সিনেমামুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মুম্বাই, পুনে, আহমেদাবাদ, সুরাট, ভাদোদরা, গুরগাঁও, ফরিদাবাদ, লখনউ, নয়ডা, দেরাদুন, দিল্লি, চণ্ডীগড়, কলকাতা, গুয়াহাটি, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর, চেন্নাই, ভেলোর এবং ত্রিভান্দ্রম।

ভারতের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গত ২৫ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয় শাহরুখ খানের “পাঠান” সিনেমার প্রদর্শনী। প্রদর্শনী শুরু হওয়ার পর দর্শক-সমালোচক দুই মহলেই দারুণ প্রশংসিত হয়েছে যশরাজ ফিল্মসের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি। পাশাপাশি ভারত এবং বিশ্বব্যাপী আকাশছোঁয়া সাফল্যও পেয়েছে অ্যাকশনধর্মী এ সিনেমাটি। শাহরুখ ভক্তরা চাইলে এখন একসঙ্গে দুটি সিনেমাই প্রেক্ষাগৃহে উপভোগ করতে পারেন।

১৯৯৫ সালের অক্টোবরে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দির হলে চলছে “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে” সিনেমার প্রদর্শনী। মাঝখানে করোনাভাইরাসের জন্য কিছুদিন হল বন্ধ ছিল। করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় হল খুলে দিয়ে আবারও দেখানো হচ্ছে সিনেমাটি। অনেক আগেই এটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হওয়ার রেকর্ড গড়েছে।

যশরাজ ফিল্মসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিবেশক রোহন মালহোত্রা বলেন, “ ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে' সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলা সিনেমা। রোমান্টিক সব সিনেমার মধ্যে এটি অন্যতম। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোমান্টিক সিনেমা বলতে এটিকে মেনেছে।” 

Share this news on:

সর্বশেষ