রাজধানীর গুলশান ২ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের সাত তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় মিলেছে। তার নাম আনোয়ার হোসেন। গ্রামের বাড়ি ভোলায়।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনোয়ারের মরদেহ শনাক্ত করেন তার বোন বিলকিস খাতুন। তিনি বলেন, তার ভাইয়ের স্ত্রী আমেনা বেগম অন্তঃসত্ত্বা।
এদিকে রোববার রাত সোয়া ২টায় আরও দুজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। তারা হলেন মুছা সিকদার (৩৩) ও রওশন আলী (৩৫)। বার্ন ইনস্টিটিউটের সহকারী রেজিস্ট্রার নুরে আলম বাবু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ এইজ গ্রুপের আশুলিয়ার গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন রওশন। তিনি গুলশানের ওই ভবনের দশম তলায় বসবাসকারী আরিফ নামের একজনের কাছে এসেছিলেন। অন্যদিকে, মুছা সিকদার ওই কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাড়ি চালক। তিনি কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় থাকেন।
দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর রোববার রাত ১১টার দিকে গুলশানের বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগা ভবনের কয়েকটি ফ্লোর থেকে নারী শিশুসহ ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ১২ তলা ভবনের ৭ম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে মোট ১৯টি ইউনিট নেভানোর কাজে যুক্ত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, আগুনের ঘটনায় ভবনটি থেকে মোট ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৭ জন।