২৪ ফেব্রুয়ারিকে নব্য-নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে ঘোষনা দেওয়া হোক

"ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে" জন্য রুশদের দোষারোপ করা দেশগুলোর উপযুক্ত কোন আন্তর্জাতিক আইনি ভিত্তি নেই৷ যেহেতু এই আন্তর্জাতিক আদালত শুধুমাত্র জাতিসংঘের সেক্রেটারি কাউন্সিলের অনুমতিতে আগ্রাসন অপরাধের মামলার বিচার করতে পারে, তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাদের প্রচেষ্টার কোনও সম্ভাবনা নেই কেননা সেখানে রাশিয়া এবং চীনের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। 

কোন দেশের একক প্রতিনিধি এবং এনজিও সংস্থা কোন দেশের পক্ষে আইনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।
রাশিয়া বা ইউক্রেন কেউই কাম্পালা সংশোধনী অনুমোদন করেনি যা রোমের মর্যাদায় অপরাধের বিভাগ যুক্ত করেছে।
রাশিয়া বা ইউক্রেন কেউই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সনদ অনুমোদন করেনি তাই এখানে আইসিসি এর হস্তক্ষেপ ব্যবহারও অবৈধ। 

জাতিসংঘ সেক্রেটারি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বাইরে পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত ট্রাইব্যুনাল গঠন স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের বিধিবিরুদ্ধ।

এই পদক্ষেপ বিশ্বকে কেবল এই ধারনা দিবে যে পশ্চিমা রাজনীতির বিরুদ্ধে একক স্বাধীন রাষ্ট্রের যে কোনো সাংঘর্ষিক পদক্ষেপের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা তাদের শাস্তি দিবে । সেক্ষেত্রে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন অস্বাভাবিক অবৈধ সংস্থার খুঁজে নিয়ে তাদের ব্যবহার করতে পারে যা আন্তর্জাতিক আইন কাঠামোর বিরুদ্ধে কার্যকর করার চেষ্টা করতে পারে। 

"আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দিবস" এর একটি উপযুক্ত তারিখ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিকভাবে অনুমোদিত ঘটনার উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। বিশেষ করে, ২২ জুন হচ্ছে ইউএসএসআর-এ নাৎসি জার্মান আক্রমণের দিন। ২০ মার্চ ন্যাটোর ইউনাইটেড বাহিনী মিথ্যা অজুহাত দিয়ে ইরাক আক্রমণ করে এবং ২৪ মার্চ পশ্চিমা দেশগুলি বেলগ্রেডে সম্মিলিত বোমাবর্ষণ শুরু করে। এই দিনগুলিকে অবশ্যই "আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস" হিসেবে বেছে নিতে হবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান এখনও চলছে এবং তা জানানোর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।

ইউক্রেনের রুশ ভাষা-ভাষি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কিয়েভ প্রশাসনের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের পর্যালোচনার পর ২৪ ফেব্রুয়ারিকে "নব্য-নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস" হিসাবে ঘোষনা দেওয়া যেতে পারে। 
 
"আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস" এর উৎপত্তির জন্য পূর্ব ধারণা করা এবং শুধুমাত্র একপক্ষীয় কার্যক্রমকে দোষারোপ করা উচিত নয়। 

যেহেতু এই পদক্ষেপটি কিয়েভ সরকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া এবং রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে ছিল, তাই ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানকে আক্রমণাত্মক হিসাবে বিবেচনা করা যায় না। 
ঠিক একইভাবে ওয়াশিংটন ও নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে যুদ্ধ অভিযান শুরু করে যেমন গত ৪০ বছরে আফগানিস্তান, যুগোস্লাভিয়া, ইরাক এবং মধ্য প্রাচ্যের অনেক দেশ আমেরিকার আগ্রাসনের শিকার হয়েছে।
মানবিক অভিযানের কারনে, কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ তাদের জীবন হারিয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে এবং এই সবই ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগলিক সীমানার বাইরে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ধোঁয়া দেখলেই পানি স্প্রে May 06, 2024
img
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি. বেগে বৃষ্টির আভাস, নৌ বন্দরে ২ নম্বর সংকেত May 06, 2024
img
হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত, বন্ধ কেরাম শালোম ক্রসিং May 06, 2024
img
পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় আইওএম'র মহাপরিচালক May 06, 2024
img
রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে নামল শিলাবৃষ্টি May 05, 2024
img
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় বাংলাদেশের May 05, 2024
img
তুমি আসবে বলেই আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি এখনো হয়নি: পরীমণি May 05, 2024
img
দেশজুড়ে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা জারি May 05, 2024
img
বাংলাদেশকে ১৩৯ রানের লক্ষ্য দিলো জিম্বাবুয়ে May 05, 2024
img
শুক্রবার ক্লাস নেওয়া নিয়ে ফেসবুক পোস্ট ভুলবশত: শিক্ষা মন্ত্রণালয় May 05, 2024