কানাডার টরেন্টোতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন নন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। গত ১৩ ফেব্রুয়ারির এ ঘটনায় নিবিড়ের সঙ্গে থাকা তিন বন্ধু প্রাণ হারান।
সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও ভাল নেই নিবিড়। ঘটনার ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও টরেন্টোর একটি হাতপাতালের বিছানায় কাতড়াচ্ছেন তিনি। সেখানে টানা ২১ দিনই আছেন আইসিইউতে। এর মধ্যে হয়েছে অস্ত্রোপচারও। মাঝে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও সেটি ছিল সামান্য সময়ের জন্য।
এ ঘটনার পরদিন স্বস্ত্রীক কানাডা ছুটেছেন কুমার বিশ্বজিত। এখনো তাদের দিন-রাত এখন কাটছে হাসপাতালে বিষন্ন পায়চারি করে। তাদের সঙ্গে ঢাকা থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন কুমার বিশ্বজিতের অনুসারী সংগীতশিল্পী কিশোর দাস।
সোমবার কিশোর দাস বলেন, ‘নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। এখনও ভর্তি আছেন টরন্টোর হাসপাতালে। মাঝে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সেটুকুই। গতকালও (রবিবার) স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি কোনও উন্নতির খবর দিতে পারেনি।’
কিশোর আরও বলেন, ‘স্যারের (কুমার বিশ্বজিৎ) সঙ্গে প্রতিদিনই কথা হচ্ছে। প্রতিদিনই ভাবি, নিবিড়ের আরও উন্নতির খবরটা পাবো। কিন্তু পাই না। জানি না, আগামীতে কী হবে। সবাই স্যার ও তার সন্তানের জন্য প্রার্থনা করবেন।’
কানাডার টরন্টো নগরীর অদূরে ৪২৭ হাইওয়ের দুনদাস স্ট্রিট ওয়েস্টে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটে। সেই গাড়িতে কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়ের সঙ্গে আরও তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনাস্থলে দু’জন আর হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বারৈ ও আরিয়ান দীপ্ত। তারা সবাই পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশ থেকে কানাডায় গিয়েছিলেন।