বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সময়সীমা শেষ হলেও বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার কোটা পূরণ না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সন্ধ্যায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সরকারিভাবে ৯ হাজার ৫৬৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ২৪৬ জন এ পর্যন্ত হজের নিবন্ধন করেছেন। আর কোটা পূরণ হতে এখনও বাকি ২৬ হাজার ৩৮৩ জন।
চলতি বছর হজের প্যাকেজ মূল্য ঘোষণার পর থেকেই তা অতিরিক্ত উল্লেখ করে টাকার অঙ্ক কমানোর দাবি উঠেছিল। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্যাকেজ মূল্য কমাতে আলোচনা হয়েছে সংসদীয় কমিটি থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত পর্যন্ত। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি; মন গলেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের।
বৃহস্পতিবার হজ নিবন্ধনের শেষ দিন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম সাফ জানিয়ে দিলেন, হজ প্যাকেজ কমানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ডলারের দাম ও বিমান ভাড়া, বাসা ভাড়া এবং মোয়াল্লেম ফি বেড়েছে। তাই হজ প্যাকেজের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে বুধবার (১৫ মার্চ) হাইকোর্টকেও এমনই তথ্য জানিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, হজ প্যাকেজের মূল্য কমানো সম্ভব নয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) চলতি মৌসুমে ধর্ম মন্ত্রণালয়ঘোষিত হজ প্যাকেজকে ‘অমানবিক’ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে হজের জন্য সরকার আলাদা বাজেট রাখে; কিন্তু বাংলাদেশে তা নেই। হজের প্যাকেজমূল্য অনেক বেশি হওয়ায় আমরাই হজে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আর সেখানে গরিব মানুষ কীভাবে যাবে!’