শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে পণ্যে ভেজাল রোধ, মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে ঢাকার বাজারে প্রতিদিন তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। জাতীয় মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। বন্ধের দিনও চলবে এ কার্যক্রম। পাশাপাশি সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ কার্যক্রম চলানো হবে।
তিনি বলেন, আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর যে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন, সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এ সময় ফলমূল, পানীয়, ফলের সিরাপ, মুড়ি, খেজুর, কোমল পানীয় পাউডার, কার্বোনেটেড বেভারেজ, ভোজ্যতেল, সরিষার তেল, ঘি, পাস্তুরিত দুধ, নুডলস, সেমাই, পানি, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট এবং ইফতার সামগ্রীর মান ও দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ন্যায্যমূল্যে সংগ্রহ করতে পারে, সে চেষ্টা চলছে। রমজানে ভেজাল প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।
নূরুল মজিদ বলেন, রমজানে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং পণ্যের ওজন ও পরিমাপে কারচুপি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে বিএসটিআই। একই সঙ্গে র্যাব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ লিফলেট বিতরণ করা হবে। এসব কার্যক্রম পরিচালনার সময় অনৈতিকভাবে ব্যবসায়ীরা যাতে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে না পারেন, তা মনিটরিং করবে বিএসটিআই।
তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে মোট ৮২৬টি খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭৭৪টির। যার মধ্যে মানসম্মত নমুনা ৭৬০টি, নিম্নমানের নমুনা ১৪টি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও ৫২টি নমুনা পরীক্ষাধীন রয়েছে। নিম্নমানের পণ্য সরবরাহকারীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।