ফাঁকা বিএফডিসিতে উৎযাপন হলো চলচ্চিত্র দিবস

রঙ্গীন কাপড়ের ফাঁকে ফাঁকে দুইটি করে বেলুন। আর প্রতিটি সংগঠনের সামনে টানানো হয়েছে একটি করে ব্যানার। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সামনের রাস্তার
দুই পাশে পুরাতন সিনেমার পোস্টারের ব্যানার দিয়ে সাজানো সেগুলো আবার পুরাতন। তথ্য মন্ত্রী প্রধান অতিথি বলেই হয়তো অডিটোরিয়ামের সামনে করা হয়েছে লাল গালিচার মঞ্চ,উত্তোলন হবে জাতীয় পতাকা। 

অনুষ্ঠান সকাল ১১ টায় শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয়েছে সাড়ে ১২ টার পর। তথ্য মন্ত্রী এসেছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে তোলা হয়েছে জাতীয় পতাকা তাতে নেই চলচ্চিত্র অঙ্গণের কোন তারকা অভিনয় শিল্পী। তথ্য মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছেন এক সময়ের জনপ্রিয় রোজিনা সাথে অভিনেতা জনি সিডাক,খোরশেদ আলম খসরু। নির্মাতা-অভিনেতা কাজী হায়াৎ, সুজাতা আর আলোচনা সভার পর দেখা গেছে বাপ্পী চৌধুরী ও সাইমন সাদিককে।

শত নেই নেই এর মাঝে আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসিতে উৎযাপন হলো জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস পালন। অডিটোরিয়ামে হলো চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আনার আলোচনা। 

আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আশি-নব্বই দশকে চলচ্চিত্রের যে অবস্থা ছিল, নানা কারণে তা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ইতোমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের চলচ্চিত্রকে সেই হারানো জায়গায় ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু করার জন্য, নতুন হল নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য। ইতোমধ্যে অনেকগুলো সিনেপ্লেক্স ও বন্ধ হয়ে যাওয়া হল চালু হয়েছে। কিছু বন্ধ হয়েছে যেমন সঠিক, কিন্তু যা বন্ধ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি চালু হয়েছে। এতে করে চলচ্চিত্র শিল্পের সুদিন ফিরে আসতে শুরু করেছে। চলচ্চিত্র শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।’

Share this news on: