কোরবানির পশু বিক্রিতে প্রস্তুত গাবতলীর হাট

পবিত্র ঈদুল আজহায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রধান ইবাদতগুলোর মধ্যে অন্যতম কোরবানি। এ ঈদকে ঘিরে গাবতলীতে বড় পরিসরে বসে কোরবানির পশুর হাট। এবার ঈদ উপলক্ষে গাবতলী হাটের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে পশু। কেনা-বেচাও শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) গাবতলী বাসটার্মিনাল সংলগ্ন পশুর হাটে দেখা গেছে, ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে হাট সংশ্লিষ্টরা। ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাট সাজানোর কাজ এবং হাটের স্থায়ী অংশের কাজ মোটামুটি শেষ। বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও র‌্যাবের জন্যও উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। তবে এখনও ব্যাংক কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য বুথ তৈরি হয়নি। বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী হাট।

হাট মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটগুলো সাজানোর প্রস্তুতি নেন ইজারাদাররা। গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের পাশে অস্থায়ী হাটের প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে।

ব্যাপারিরা বলছেন, হাট কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি থাকলেও এখনও জমেনি অস্থায়ী সেড। ক্রেতা সমাগম কম থাকায় কোরবানির হাট লক্ষ্য করে পালন করা গরু-ছাগল এখনই আনছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে হাটের স্থায়ী শেডে বেচাকেনা চলছে।

ব্যবসায়ীদের আশা, আগামী শুক্রবার (২৩ জুন) থেকে পুরোদমে জমে উঠবে এ পশুর হাট। তখন ক্রেতাদের চাহিদা মতো নামবে কোরবানির পশু। এবার মাঝারি দামের পশু টার্গেট করে লাভের আশা করছেন তারা।

গাবতলীর অস্থায়ী পশুর হাটের ম্যানেজার আবুল হাশেম বলেন, ঈদকেন্দ্রিক হাটের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের এখনও ১০ দিন বাকি। ইতোমধ্যে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ওয়াচ টাওয়ারের কাজ শেষ। ১১টি হাসিল ঘরের মধ্যে ৮টির নির্মাণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। হাট জমলে বাকি তিনটাও সম্পন্ন হবে। চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরগুনা, নাটোর, মেহেরপুর, রাজশাহী, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানের ৬০ জন বড় ব্যাপারি ইতোমধ্যে সেড বরাদ্দ নিয়েছেন। সেগুলোর কাজও প্রায় শেষ।

তিনি বলেন, এবার হাটের হাসিল লেখার জন্য লোক নিয়োগ করা হয়েছে ৪০০ জন। স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে দুই বেলা মিলে ৮০০ জন। স্থায়ী টয়লেট কিছু আছে। অস্থায়ীভাবেও কিছু বসানো হবে।

Share this news on: