দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত ২৬

দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে ব্যাপক বন্যা, ভূমিধসে ২৬ জন নিহত হয়েছে। এতে নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ১০ জন। বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, বন্যায় বিভিন্ন টানেলে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। উদ্ধারকারীরা টানেলে আটকে থাকা গাড়ির কাছে পৌঁছাতে লড়াই করছে। দেশটির উত্তর চুংচেং প্রদেশের চেওংজুতে টানেলে প্রায় ১৯টি গাড়ি আটকা রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সেখানে কতজন মানুষ রয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

দেশজুড়ে ৫ হাজার ৫৬৬ জনকে বিপজ্জনক স্থান থেকে সরিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৪টি প্রদেশের ৮ হাজার ৩০০-এর বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু কর্তৃপক্ষকে ভূমিধস প্রবণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে এবং উদ্ধার তৎপরতা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন।


এদিকে নিহত ২৬ জনের মধ্যে উত্তর গিয়ংসাং প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। মন্ত্রণালয় বলছে, সেখানকার অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধসে। এ ছাড়া ভয়াবহ বন্যায় প্রদেশের রাস্তা, বাড়িঘর ও কৃষি খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি বলছে, দক্ষিণ চুংচেওং প্রদেশের নানসেন শহরে শুক্রবার ভূমিধসের কারণে ভবন ধসের ঘটনায় ২ জন মারা গেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পূর্ব এশিয়াজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা ও এর তীব্রতা বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতেও চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোকে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত জনিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।

গত কয়েকদিন আগেই কোরিয়ার প্রতিবেশী জাপানে প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিধ্বংসী বন্যায় ৬ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও ১৯ জন। এ ছাড়া চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা সৃষ্টি হয়েছিল, এতে চংকিং শহরের ১৫ বাসিন্দার মৃত্যু হয়।

Share this news on: