এই আম গাছটি পৃথিবির সবচেয়ে বড় আম গাছ। আনুমানিক ২২০ বছর ধরে দারিয়ে আছে এই গাছটি। গিনেছ বুক অফ ওয়াল্ড রেকোর্ডে নাম লেখাতে যাচ্ছে গাছটি। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত ইউনিয়ন হরিণমারীতে মিলবে গাছটি।
এই আম গাছটির উচ্চতা আনুমানিক ৮০-৯০ ফুট। এই সূর্যপুরী জাতের লতা বোম্বাই জাতীয় লতানো বিশাল আকৃতির আমগাছটি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় দুই বিঘারও বেশী জায়গা জুড়ে। সূর্যপুরী ঠাকুরগাঁও এর মানুষের প্রিয় একটি আমের জাত। এটার উচ্চতা আনুমানিক ৮০-৯০ ফুট। আর পরিধি ৩৫ ফুটের কম নয়।
গাছের ডালগুলো কান্ড থেকে বেরিয়ে একটু উপরে উঠেই মাটিতে নেমে গেছে। তারপর আবারও ঢেউয়ের মতো উঠেছে উপরের দিকে। দেখলে মনে হবে বসে আছে একটি বিশাল সাইজের অক্টপাস। কান্ড থেকে বের হয়েছে গাছটির ২০টি শাখা। শাখাগুলোর দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৫০ ফুটের কম নয়। গাছের প্রতিটি ডালে অনায়াসে হাঁটাচলা ও বসা যায়। ডালগুলো দেখলে মনে হবে প্রতিটা একএকটি মাঝারি সাইজের আমগাছ। বয়সের ভারে গাছের ডালপালা গুলো নুয়ে পড়লেও গাছটির শীর্ষভাগে সবুজের সমারোহ, সবুজ আমে টইটম্বুর। আমগুলোর ওজন ২০০ গ্রাম থেকে ২৫০ গ্রাম।
গাছটির মালিক জানান, গাছটিতে প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ মণ আম হয়।
দর্শনার্থীরা বলছে এরকম গাছ আগে কখনো দেখিনি।
বর্তমান মালিক দুই ভাই সাইদুর রহমান ও নূর ইসলাম। এই বিস্ময়কর গাছটি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় করে। গাছটি দেখার জন্য জনপ্রতী ৩০ টাকা করে টিকেট নির্ধারণ করা রয়েছে। বর্তমানে এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় আম গাছ এবং আনঅফিসিয়ালি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আম গাছ।