বৃষ্টিতে ক্রেতা কম বাজারে, বেড়েছে মুরগি-ডিমের দাম

সাপ্তহিক ছুটির দিন শুক্রবারে রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকে ঝরছে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। ক্রেতা উপস্থিতি একেবারেই কম। কাঁচাবাজারে হাঁটুজলে বিপাকে পড়েছেন অনেক বিক্রেতারাও।

তবে এই বৃষ্টির মধ্যেও স্বস্তির খবর গত কয়েকদিন সরবরাহ ভালো থাকায় সবজির দাম রয়েছে খানিকটা নাগালের মধ্যে। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেলের মতো অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটল, পেপে, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়সসহ বেশ কিছু সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। সিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। মরিচের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। টমেটোর দাম অবশ্য নাগালের বাইরেই। প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, টমেটোর আমদানি না থাকায় বাড়তি দাম।

এদিকে, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে মাছ-মাংস ও ডিমের দাম কমতির দিকে থাকলেও, আবারও বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার-ডিমের দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫ টাকা। জায়গাভেদে গরুর মাংসের দামও বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি। এই সপ্তাহে দরদাম করে সেই ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়। বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। গত সপ্তাহে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজির সোনালি মুরগি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। এদিকে, ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিমের দাম পড়ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা ডজন। সাদা রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

বেশিরভাগ বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হচ্ছিল ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

এদিকে, জোগান কম হওয়ায় বাজারে ইলিশের দাম বেশি। ইলিশ না থাকায় চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে। এক কেজি আকারের ইলিশের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। অন্যান্য মাছের মধ্যে রুই মাছের কেজি পড়ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। পাবদা, বোয়াল, আইড়, দেশি মাগুরের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। মানভেদে পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছের কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

এদিকে, নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, আটা-ময়দা, চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম আগের মতোই আছে। গুটি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি। বিআর আটাশ ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা। মানভেদে মসুর ডালের কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। চিনির কেজি পড়ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

Share this news on:

সর্বশেষ