ব্যাপক তুষারধসের কারণে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের পর্যটন গ্রাম হেমুতে আটকা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার পর্যটক। গ্রামটির আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে ১ থেকে ৭ মিটার পর্যন্ত তুষারস্তূপ জমেছে এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাদের উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়- কাজাখস্তান, রাশিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার সীমান্ত লাগোয়া হেমু গ্রামটিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। তবে গত ১০ দিন থেকে ব্যাপক তুষারঝড়ের কারণে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আলতাই পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত গ্রামটি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইতোমধ্যে অবশ্য কয়েকজন পর্যটককে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনো আটকে আছেন প্রায় এক হাজার পর্যটক।
সিসিটিভি জানিয়েছে, সড়ক থেকে তুষারের স্তূপ পরিষ্কারের কাজ এক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে। তবে অনেক জায়গায় তুষার পরিমাণের তুলনায় সরঞ্জাম কম থাকায় এবং ধসের জেরে তুষারের সঙ্গে পাহাড়ের গাছপালা ও পাথর উপড়ে আসার ফলে সড়ক পরিষ্কারের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আবহাওয়া প্রতিকূলতায় উদ্ধার অভিযান তো দূর, সেখানে খাদ্য-জ্বালানির সরবরাহ পাঠানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে হেলিকপ্টারে করে গ্রামটিতে ময়দা ও জ্বালানি সরবরাহ করছে চীনের সামরিক বাহিনী।
জিনজিয়াং প্রদেশের মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা প্রধান ঝাও জিনশেং বলেছেন, ‘আলতাই পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক তুষারপাতের ঘটনা বিরল নয়, তবে এত বড় আকারের ধস এ অঞ্চলে বিরল।’