উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অনেকেই অংশ নেবে : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অনেকেই অংশ নেবে। দলগতভাবে তারা যাই বলুক না কেন, তৃণমূলে তাদের অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার প্রশ্ন আছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন উপজেলা নির্বাচন নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব চলছে। স্থানীয় নির্বাচনে আমরা এখন প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করছি না। এইজন্য বিএনপির অনেকেই লুফে নেবে। জাতীয় রাজনীতি এবং স্থানীয় রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন হতাশায় ডুবে আছে। সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীরা যারা ক্ষমতা দেখিয়েছিল শেষে দেখা গেল ভুল রাজনীতি, নেতিবাচক রাজনীতি তারা করে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই তারা একসময় স্বীকার করবে যে তাদের আন্দোলনে ভুল আছে। এর চেয়েও বড় ভুল তারা নির্বাচনে আসেনি। নির্বাচন বয়কট করা তাদের সবচেয়ে বড় ভুল। আমার বিশ্বাস পার্টির কোনো কোনো নেতার মূল্যায়নে এই বিষয়টি অবিলম্বে আসতে পারে।

বিএনপি আন্দোলনের নামে কত ভয়ংকর হতে পারে, সেটা বার বার তারা প্রমাণ করেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন তাদের আন্দোলনের অপেক্ষায় আছি আমরা। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া আন্দোলন সফল হয় এমন নজির পৃথিবীর কোথাও নেই।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে অর্থনীতি সংকট হয়তো আছে। এটার জন্য আমরা দায়ী নয়। বিশ্বে যুদ্ধ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে তার জন্য দাম বাড়ছে। কিন্তু সরকার দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্যুতে আমাদের যথেষ্ট ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এই ভর্তুকী আমরা সমন্বয় করতে চাই। বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করতে হলে সমন্বয় করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে একটা নির্বাচন হয়ে গেল, তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস করেছে। ২৮ অক্টোবরের স্মৃতি ভুলে যাওয়ার কথা না। বিএনপির আন্দোলনের কত ভয়ংকর হতে পারে তা বার বার দেখিয়েছে। তাদের আন্দোলনের অর্থ বুঝি। জনগণের সম্পৃক্ততার ছিল না বলে অতীতে তারা ব্যর্থ। বর্তমানে আমাদের দেশে অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে। তার জন্য আমরা দায়ী না। বিশ্ব অর্থনীতির কারণে জিনিসপত্রের দামের ওপর একটা প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্য থাকে, তার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।

Share this news on: