মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথার যন্ত্রণা যার আছে সে-ই বুঝতে পারে এর কষ্ট। মাইগ্রেন হলো মাথার একপাশে কম্পন দিয়ে মাঝারি বা তীব্র ধরনের ব্যথা। কখনো ব্যথা মাথার একপাশে শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে এটা ছড়িয়ে যায়। আবার মাইগ্রেনের সমস্যায় কখনো কখনো ব্যথার সঙ্গে দৃষ্টি বিভ্রম বা বমি বমি ভাবও থাকতে পারে। তবে কয়েকটি বিষয় রয়েছে যেগুলোর কারণে মাইগ্রেনের আক্রমণ বেড়ে যায় অনেকাংশে। সেসব বিষয় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে মাথাব্যথার যন্ত্রণাও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাইগ্রেনের যন্ত্রণার কারণ এবং এটা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়।
মানসিক চাপ: যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগেন তাদের ৭০ শতাংশই মানসিক চাপের কারণে বাড়তি সমস্যায় ভুগতে পারেন। গবেষণা বলছে, ৫০-৭০ শতাংশ মাইগ্রেন আক্রান্তের সঙ্গে দৈনন্দিন মানসিক চাপের মাত্রার সংযোগ রয়েছে। চেষ্টা করুন নিজের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
ঘুমে ব্যাঘাত: ঘুমের মাধ্যমেই মস্তিষ্কসহ শরীরের সমস্ত অঙ্গ নতুন করে শক্তি পায়। তাই ঘুমের ব্যাঘাত হলে মাইগ্রেন আক্রমণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা দরকার। মাইগ্রেনে মোট আক্রান্তদের অর্ধেকই ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে মাইগ্রেনের ব্যথায় আক্রান্ত হন। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুবই জরুরি।
ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল: ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণে কারও কারও মাথাব্যথা অনেকে বেশি বেড়ে যায়। আবার কেউ কেউ বলে কফি খেলে তাদের মাথাব্যথা কমে যায়। এমনকি মাইগ্রেনের কিছু ওষুধেও ক্যাফেইন ডোজ থাকে। তারপরও নিজের সমস্যা বুঝে এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন: কারও কারও ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের মাথাব্যথা বাড়িয়ে তোলে আবহাওয়াও। ঝড় বা অনেক তাপমাত্রা থাকলে মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন কেউ কেউ। অনেক বেশি আর্দ্রতা বা তাপমাত্রায় থাকলে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সময় বুঝে নিজের দৈনন্দিন কাজের শিডিউল ঠিক করে নিন। পাশাপাশি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
খাবার-দাবার: যেসব বিষয় মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তোলে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণটি হলো খাবার। কিছু খাবার এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। যেমন: চকোলেট, চিজ এবং দুধে তৈরি খাবার। কড়া গন্ধযুক্ত খাবার এক্ষেত্রে বেশ নেতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। সেজন্য যেসব খাবার খেলে মাথাব্যথা হয় সেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। তাই কেউ কেউ নিজেদের সুরক্ষায় মাইগ্রেন ডায়েট তৈরি করে নেন।