বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এর সঙ্গেই নতুন যাত্রায় নেমেছে কোক স্টুডিও বাংলা। তৃতীয় কিস্তিতে এ পর্যন্ত এসেছে দুটি গান- ‘তাঁতি’ এবং ‘মা লো মা’। প্রথম গান ‘তাঁতি’ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সমানতালে হলেও ইউটিউব ট্রেন্ডে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ‘মা লো মা’ গানটি।
দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা ও প্রশংসা পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এই গানের সঙ্গেও জুড়ে গেল নতুন এক সমালোচনা।
‘মা লো মা’ গানটি নেত্রকোনার আঞ্চলিক গান হিসেবেই পরিচিত। তবে কোক স্টুডিও বাংলা থেকে প্রচারিত গানের লেখক হিসেবে লেখা ছিল খালেক দেওয়ানের নাম। এই নিয়েই ক্ষুব্ধ নেত্রকোনার সংস্কৃতি কর্মীরা।
সোমবার (৬ মে) নেত্রকোনার সাহিত্য সমাজ, সম্মিলিত নাগরিক সমাজসহ অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক সংগঠন প্রতিবাদে নামে।
কোক স্টুডিও’র গানে যদিও ব্রাকেটে উল্লেখ ছিল গানের প্রকৃত স্রষ্টা বাউল রশিদ উদ্দিনের নাম। গ্রাম-বাংলার লোকসঙ্গীতের সম্মিলিত উপস্থাপনের কথাও উল্লেখ করা হয়। তারপরেও একজোট হয়ে ব্যানার হাতে প্রতিবাদ জানায় নেত্রকোনাবাসী।
তাদের দাবি, কোক স্টুডিও বাংলা নতুন ভার্সনের নামে ষড়যন্ত্র করছে কোক। যার গান তার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের প্রচারণা করছে, কোক স্টুডিও, এ রকম দাবি তুলেছেন নেত্রকোনার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।
ভাটি অঞ্চলের বিখ্যাত বাউল রশিদ উদ্দিনের গান- ‘এই মা লো মা’। নেত্রকোনাবাসীর দাবি, অনতিবিলম্বে গানটিতে মূল স্রষ্টার নাম উল্লেখ করতে হবে। তাদের গর্ব বাউল সাধক রশিদ উদ্দিন। মূল স্রষ্টার নাম সরাসরি উল্লেখ না করা হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেছেন তারা।
কোক স্টুডিও’র প্রচারিত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শরফুদ্দিন দেওয়ান (সাগর), আরিফ দেওয়ান এবং র্যাপ গান লিখেছেন ও কণ্ঠ দিয়েছেন আলী হাসান। গান ও বাদ্যযন্ত্রের পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান।
একদিকে, যখন দেশের মানুষ গানটি নিয়ে আন্দোলন প্রতিবাদ করছেন, তখন অন্যদিকে দেশের বাইরের মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছেন- ‘মা লো মা’ গানটি।
সোমবারই প্রীতম হাসান তার ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও আপলোড করেন। 'দ্য কুইক স্টাইল' নামে একটি ডান্স গ্রুপ এই গানে ডান্স কভার করে। দেশ-বিদেশের হাজারও দর্শক প্রশংসামূলক মন্তব্য করছেন।
মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিওটি প্রায় ৫ লাখ ভিউ অতিক্রম করে। ‘দ্য কুইক স্টাইল’ এর আগে বিভিন্ন হিন্দিগানে ডান্স করে ভারতীয় দর্শকদের মন জয় করেছিল।