উপজেলা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রির্টানিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
সিইসি বলেন, প্রথম ধাপের ৫টি উপজেলার প্রতিটি পদে বিনা প্রতিন্দ্বদ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে গেছে। এছাড়া ১৪০টি উপজেলার মধ্যে ২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় ভোটে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের নিবৃত করা হয়েছে, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেনো ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় সে লক্ষ্যে বিভাগ, জেলা পর্যায়ে কমিশন মত বিনিময়ও করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ও টহলের সুবিধার্থে এ ধাপে ধাপে ভোটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, স্থগিত ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে কিছু বাদ দেওয়ার পর বুধবার ১৪০টি উপজেলায় ভোট হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আর পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অন্তত ২১ জন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে আমরা সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। সংশ্লিষ্টরা নিয়ম কানুন প্রতিপালন করলে নির্বাচনটা সহজ হবে; তারা যদি বিশৃঙ্খল তৈরি করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা দুরূহ হবে। এবার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রার্থীসহ সবার সঙ্গে মত বিনিময় করা হয়েছে। নির্বাচনটাকে স্বচ্ছ করার চেষ্টা করছি।
ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ের নানা ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সিইসি। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে কারও কারও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সেজন্যে ইসির তরফ থেকে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী অনেকে নিবৃত করতে পেরেছি। হয়ত বা অনেকে এলাকায় আছেন। সরকারের তরফ থেকে যতদুর দেখেছি, দলীয়ভাবে হোক বা সরকারের পক্ষ থেকে হোক-যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয় কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করেন সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেনো ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়-সে বার্তাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।