নতুন আবিষ্কৃত কিছু অদ্ভুতদর্শন জীব

আমাদের পৃথিবীতে এখনো আবিষ্কার হয়নি এমন হাজার হাজার প্রজাতির প্রাণী রয়েছে৷ আমাদের দৈনন্দিন অভ্যস্ততার বাইরে অদ্ভুত আকার-আকৃতির কিছু নতুন আবিষ্কার হওয়া প্রাণীর ছবি আপনাকে কৌতুহলী করে তুলবে।

মথদের ডোনাল্ড ট্রাম্প

মথটি ২০১৭ সালে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় আবিষ্কার হয়৷ কিন্তু এটি বিখ্যাত সম্পূর্ণ অন্য কারণে৷ এর মাথায় কমলা রঙের চুলের মতো বস্তুর সঙ্গে অনেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাদৃশ্য খুঁজে পান৷ এ ধারণা এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, বিজ্ঞানীরা এর নামই রেখে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ মজার ব্যাপার হলো, এই মথের বাস মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে৷ ট্রাম্পের প্রস্তাবিত দেয়ালটি এই রাজ্যের পাশ দিয়েই যাওয়ার কথা৷

সাগরব্যাঙ

অদ্ভুত সব প্রাণী খোঁজার সবচেয়ে ভালো জায়গা সাগরের গভীর তলদেশ৷ বিরল এই সাগরব্যাঙ ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার কোরাল সাগরে ‘ডিপ ডাউন আন্ডার’ নামের অভিযানের সময় আবিষ্কার হয়৷ গভীর জলের এই প্রাণী শিকার আকৃষ্ট করতে নিজের শরীরে আলো উৎপন্ন করতে সক্ষম৷

সাফিলা সুগিমোতোই

এই উদ্ভিদটি ২০১৭ সালে জাপানে আবিষ্কার হয়৷ সালোকসংশ্লেষণ না করেই খাদ্য সংগ্রহ করা গুটিকয়েক উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে এটি একটি৷ এই উদ্ভিদ নিজের গায়ে বাসা বাঁধা ছত্রাক থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে৷ আবিষ্কারের পর জাপান তো বটেই, বিশ্বজুড়ে প্রাণিবিদদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল এই উদ্ভিদ৷

হুডউইঙ্কার সানফিশ

দুই মিটার প্রস্থের এই বিদঘুটে দেখতে মাছ ফেব্রুয়ারিতে ক্যালিফোর্নিয়ার সৈকতে ভেসে ওঠে৷ স্থানীয়রা শুরুতে বেশ অবাক হলেও পরে দেখা গেল, ২০১৭ সালে চিহ্নিত হওয়া বিরল প্রজাতির হুডউইঙ্কার সানফিশ এটি৷ এর আগে দক্ষিণ গোলার্ধের নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার আশেপাশেই কেবল দেখা যেতো একে৷ এবারই প্রথম উত্তর গোলার্ধে এর দেখা মিলল৷

মাথাহীন দৈত্য মুরগি

সামুদ্রিক শসা নামেও পরিচিত এই প্রজাতিটি৷ বৈজ্ঞানিক নাম এনিপনিয়াস্টারস এগজিমিয়া৷ ২০১৮ সালে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকায় আবিষ্কার করা হয় একে৷ এরা বেশিরভাগ সময় সমুদ্রের তলদেশে কাটালেও ছবির প্রজাতিটি ভেসে চলতেই ভালোবাসে৷ শুধু খাবারের জন্য সমুদ্রের নীচে নামে এটি৷

দানব স্কুইড

গভীর জলের বাসিন্দা এই প্রাণী অনেকদিন ধরেই বিজ্ঞানীদের নজর এড়িয়ে গেছে৷ ২০০৪ সালে প্রথম দানব স্কুইডের ছবি তোলা সম্ভব হয়৷ ওপরের ছবিটি ২০১৩ সালে প্রাণিটির আবাসস্থলে করা প্রথম ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নেয়া৷ প্রাণীটি কত বড় হতে পারে, সে বিষয়ে এখনো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন৷ তবে এখন পর্যন্ত দেখা পাওয়া সবচেয়ে বড় স্কুইডটি লম্বায় ছিল ১৩ মিটার৷

 

টাইমস/এএস/এসআই

Share this news on: