সবকিছুই চলছে অবলীলায়, কোনো জবাবদিহি নেই: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই, ন্যায়বিচার নেই, মানবাধিকার নেই, ইনসাফ নেই। সবকিছুই চলছে অবলীলায়। কোনো জবাবদিহি নেই।

বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত বিএনপির নেতা মাহবুব আলম শাহীনের বাসার সামনে ধরমপুর এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই, ন্যায়বিচার নেই, মানবাধিকার নেই, ইনসাফ নেই। বিএনপির নেতা শাহীন হত্যা প্রমাণ করে দেশে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। তার সন্তানেরা আজ বাবাহারা, এতিম। স্বামীর শোকে স্ত্রী প্রচণ্ড অসুস্থ। গোটা পরিবার আজ অসহায়।

মাহবুব আলম শাহীনের পরিবারের সদস্যদের ধৈর্যধারণ ও সাহস রাখার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শাহীনের ছেলে-মেয়ে আমাদের সন্তান। আমরা সবাই ওদের দেখব। বিএনপি সব সময় এই পরিবারের পাশে থাকবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। প্রাণপ্রিয় নেতা তারেক রহমান বিদেশে। তাদের জন্য বগুড়াবাসী দোয়া করবেন।’

এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল নিহত মাহবুব আলমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সান্ত্বনা দেন এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে মাহবুবের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় মাহবুবের স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

কান্নায় ভেঙে পড়ে মাহবুব আলমের স্ত্রী আকতার জাহান মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার স্বামী আজীবন বিএনপির আদর্শের সৈনিক ছিল। আমার স্বামীর কী অপরাধ ছিল? কেন এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো?’

স্বামীহারা আকতার জাহান প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাবাহারা হলো। তাদের কী হবে? কে আমার অসহায় ছেলেমেয়েদের দেখবে? আমার স্বামী হত্যার বিচার পাব তো? আমার কোনো কিছু চাওয়া নেই, একটাই চাওয়া, খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। খুনিদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন।’

গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার উপশহর বাজারে ১০ তলা বিল্ডিংয়ের সামনে ছুরিকাঘাত করে বিএনপির নেতা মাহবুব আলম শাহীনকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। মাহবুব আলম শাহীন বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পেশায় আইনজীবী। তার বাড়ি বগুড়ার উপশহরের ধরমপুর এলাকায়।

ওই সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ মোশারফ হোসেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলী আজগর তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সাংসদ জি এম সিরাজ, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টাইমস/এসআই