আয়ু বাড়াবে ভিটামিন ও খনিজ

ভিটামিন এবং খনিজ শুধু রোগ প্রতিরোধই করে না বরং আয়ু বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রকৃতিতে বিদ্যমান ৩০টি ভিটামিন এবং খনিজ গ্রহণ করে আয়ু বাড়ানো যেতে পারে।

একইসাথে হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং নিউরোডিজেননিটিভের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করতেও ভূমিকা রাখবে।

সম্প্রতি আমেরিকার ‘প্রোসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’ নামক জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

নিবন্ধে বলা হয়, ৩০টি ভিটামিন এবং খনিজের পাশাপাশি আরও ১১টি পদার্থকে ভিটামিন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এসব ভিটামিনকে ‘আয়ুবর্ধক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত।

চিলড্রেন হসপিটাল ওকল্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিআরআরআই) গবেষকরা বলেন, মানবদেহের কোষে শত শত বিভিন্ন এনজাইম রয়েছে যাদের সর্বাধিক পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ প্রয়োজন।

এর অর্থ হলো ভিটামিন ডি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টিগুণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার। তেমনই এগুলো আমাদের দেহের দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলিরও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

কারণ এগুলো ডিএনএ পুনর্গঠন, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য এবং অক্সিডেটিভ ক্ষত প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে।

গবেষণায় বলা হয়, যখন আমাদের দেহে মূখ্য পুষ্টিগুণের অভাব দেখা দেয় তখন এগুলোর দ্রুত যোগান দিতে হবে। এজন্য আমাদের দীর্ঘস্থায়ী জৈবিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করতে হবে।

সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ‘কে’ ১৬-২৫ টি এনজাইমের জন্য অপরিহার্য উপাদান।

অ্যামেস ল্যাবের গবেষণায় দেখা যায় যে, রক্তের ঘনীকরণ প্রক্রিয়ায় ভিটামিন ‘কে’ এর ঘাটতি দেখা দিলে শরীর ধমনী পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় কম এনজাইম তৈরি করে, যা কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুহার বৃদ্ধি করে।

খদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে অ্যামেস ল্যাবের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের জন্য বেশি বেশি করে শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।

এছাড়া প্রতিবেদনে চিনিযুক্ত কোমল পানীয় এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বর্জন করার পরামর্শ দেয়া হয়।

 

 

Share this news on:

সর্বশেষ