আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করল ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা।

রোববার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও সংগঠনের বিগত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু বলেন, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তাই আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।

এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে পদবঞ্চিতদের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের শীর্ষ চার নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন ছাত্রলীগের রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, শামসুন নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী, জসীম উদ্দীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান, ছাত্রলীগের নতুন কমিটির উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক তিলোত্তমা সিকদার, বিগত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ।

বৈঠক শেষে রাজু ভাস্কর্যে এসে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে মোল্লা কাউছারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পদবঞ্চিতদের উদ্দেশে পদের লোভ না করে দল ও দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি সবাইকে কাদা ছোড়াছুড়ি না করারও অনুরোধ করেন।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, আপা (প্রধানমন্ত্রী) প্রথমত আমাদের সবাইকে এক ছাতার নিচে দেখতে চান। তিনি দ্বিধাবিভক্ত কারো সঙ্গে কথা বলবেন না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে তিনি আমাদের সব কথা শুনবেন।

ছাত্রলীগের সম্মেলনের এক বছর পর সোমবার ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়। কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন পদবঞ্চিত অর্ধশত নেতাকর্মী। সংবাদ সম্মেলন শুরুর পরপরই সেখানে হামলা চালায় পদ পাওয়া শতাধিক নেতা। হামলায় ছয় নারী নেত্রীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এরপর কমিটি পুনর্গঠন চেয়ে একযোগে পদত্যাগে’ ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধরা। কমিটিতে স্থান পাওয়া বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন তারা।

এরপর শনিবার গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আলোচনা করতে গিয়ে আবারও হামলা ও মারধরের শিকার হন বিক্ষুব্ধ অংশের নেতাকর্মীরা। এরপর থেকে তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ