এরশাদকে নিয়ে সাবেক স্ত্রী বিদিশার আবেগঘন স্ট্যাটাস

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অসুস্থ হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন।

গত পাঁচদিনেও তার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি কথা বলতে পারছেন না। তবে এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নন।

এদিকে এরশাদ মারা গেছেন বলেও রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়।

ঠিক এমনি এক পরিস্থিতিতে অসুস্থ এরশাদকে দেখতে না পারার আক্ষেপে তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা রোববার রাতে ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন।

বিদিশা এরশাদের পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘এই নির্মমতার শেষ কোথায়?

স্ত্রী দেখতে পারছে না তার স্বামীকে, সন্তান দেখতে পাচ্ছে না তার পিতাকে, এরকম এক নির্মমতার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে হচ্ছে আমার দিনগুলো। সবসময়ই বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠছে এই বুঝি কোনো দুঃসংবাদ শুনি, আর কারো কথা বলছি না আমি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাহেবের কথা বলছিl

তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। অথচ তাকে নিয়ে চলছে রাজনীতি, কেউবা চায় তার পদ দখল করতে, কেউবা তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।

কি নির্দয় এ সমাজের মানুষগুলো? যাদের জন্য জীবনে এত কিছু করে গেলেন তিনি, তারাই আজ তার মৃত্যু কামনা করছেন। বাবার মৃত্যুক্ষণে ছেলেকে সুকৌশলে দূরে রাখা হচ্ছে, কেউ কেউ তাকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাও শুরু করেছেন।

আমি অত সাত-পাঁচ বুঝি না,আর এগুলো বুঝতে চাইও না, আমি চাই আমার ছেলেটা সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক, বাবার স্বপ্ন পূরণে সেও এক সময় দেশ ও জাতির জন্য কাজ করবে, কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে আমার ছেলেকে নিয়ে, ও যেন আমার মতো কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়। তাই আমি এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মীদের অনুরোধ করবো, আপনাদের নেতার এই দুঃসময়ে তার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান সত্য উদঘাটন করুন, ষড়যন্ত্রের হাত থেকে এরিককে বাঁচান।

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কি এরিক তার বাবাকে দেখতেও পারবে না? পারবে না কি শেষবারের মতো একবার বাবা বলে ডাকতে? এই প্রশ্ন জাতীয় পার্টির প্রতিটি নেতাকর্মীর কাছে আমার রইল, পাশাপাশি উনার সুস্থতার জন্য সকলকে দোয়া করার অনুরোধ রইলো।

বিদিশা।’

প্রসঙ্গত গত ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়া হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: