ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ৮ নম্বর গলিতে বেড়ে ওঠা ১০ বছরের এক কিশোর রানা। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মানুষের কাছে সে এখন ‘গালি বয়’ নামেই বেশি পরিচিত। শুধু পরিচিতই নয় বরং এক গানেই ভাইরাল সে।
তার প্রথম গান ‘গালি বয়’ প্রকাশ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহমুদ হাসান তবীব। গত ১৭ জুলাই এই জুটিই আবারো নিয়ে আসলেন তাদের দ্বিতীয় গান ‘গালি বয় পার্ট টু’। এবার সেই গানের ভিডিও চমকে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। ফলে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশি মিডিয়াতেও খবরের শিরোনামে ঢাকাইয়া এই ‘গালি বয়’।
শনিবার কলকাতার পত্রিকা ‘দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা’ রানাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যেখানে ফুল বিক্রেতা রানা থেকে কিভাবে ‘গালি বয় রানা’ হয়ে উঠেছে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এমনকি গালি বয়ের তৃতীয় আরো একটি গান আসন্ন ঈদের পরেই আসছে, সে কথাও প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রথম ভিডিওতে রানার সঙ্গে পরিচয়ের পাশাপাশি গালি বয়দের জীবনচিত্র তুলে ধরেছিলেন গালি বয়ের র্যাপ গানের লেখক মাহমুদ হাসান তবীব। দ্বিতীয় ভিডিওতে রানাদের সমস্যা নিয়ে আরও একরাশ প্রশ্ন সমাজের দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন একই লেখক।
চার ভাইবোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রানা। তার জীবন এখনো বাস্তবের বেড়াজালে বন্দী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরে বেড়ানো আর দশটা পথশিশুর মতো রানাও একজন।
আগে ক্যাম্পাসে ফুল হাতে সারা দিন ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত রানাকে। পাশাপাশি ছোট্ট এই শিশুটি বেশ ভালো র্যাপ গান গাইত। বিনিময়ে ২-৫ টাকা চেয়ে নিত মানুষের কাছ থেকে। এটাই ছিল রানার পরিচিতি।
পরবর্তীতে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ঢাবি শিক্ষার্থী তবীবের। ব্যস, রানাকে নিয়ে কাজে নেমে পড়েন তিনি। প্রথম গানই ভাইরাল হয়ে যায় রানার।
তবে আজ ‘গালি বয়’ রানা বেশ পরিচিত মুখ হওয়ার বদৌলতে রাস্তায় অনেকেই তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চায়। ছেলের এমন জনপ্রিয়তায় মা সিতারা বেগম বলেন, যখন তার সঙ্গে কেউ ছবি তুলতে চায় তখন আমার অনেক ভালো লাগে।
তবে একটা আপসোসও হয় তাকে নিয়ে। আমার ছেলেটা টাকার অভাবে স্কুলে যেতে পারে না। রানারও ইচ্ছে স্কুলে যাওয়ার, কলেজ ভর্তি হওয়ার। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে চায় সে।
‘গালি বয়’ ভিডিও
‘গালি বয় পার্ট টু’ ভিডিও
টাইমস/জেকে/এসআই