রাত জাগলে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

আমাদের অনেকেরই বিশ্বাস, যে যত রাত জাগেন সে তত পরিশ্রমী। আর রাত জেগে পরিশ্রম মানেই সফলতা। যেমন সফল হয়েছিলেন বব ডিলান, ফিদেল কাস্ত্রো কিংবা মাও সেতুং। কিন্তু জানেন কি রাত জাগলে স্বাস্থ্যের কী সমস্যা হয়? হ্যাঁ, সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো রাত জাগার সঙ্গে বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে।

অ্যাডবান্স ইন নিউট্রেশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আধুনিক জীবনধারায় মানুষ খুবই ব্যস্ত। এই ব্যস্ততা মানুষের স্বাভাবিক খাদ্য ও ঘুমের অভ্যাসে নানাভাবে ব্যাঘাত ঘটায়।

মেডিক্যাল নিউজের মতে, বিশৃঙ্খল জীবনযাপন মানুষের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, লিপিড মেটাবোলিজম, রক্তচাপসহ দেহের সাইক্লিক্যাল মেটাবলিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। ঘুমের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসকে সম্পর্যুক্ত করে এই গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা রাত জাগেন তাদের খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর হয় না। কারণ তারা সাধারণত শাক-সবজি ও শস্যদানা জাতীয় খাবার কম পছন্দ করে এবং পরিমাণে বেশি খায়।

এই গবেষণায় দেখা যায়, যারা রাত জাগেন, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা অন্যদের থেকে ২.৫ গুণ বেশি। রাত জাগার অভ্যাস মানুষের ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণের কৌশলকেও প্রভাবিত করে বলে গবেষকরা মনে করেন।

প্রধান গবেষক সুজানা বলেন, গবেষণায় দেখা যায় যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যারা দূর্বল তাদের অধিকাংশই রাত জাগেন। কারন রাত জাগার ফলে এসব ব্যক্তি সাধারণত দেরিতে খাবার খায় এবং ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তেই তাদের গ্লুকোজের মাত্রা তীব্র হয়ে ওঠে। এটা মানবদেহের স্বাভাবিক জৈবিক ক্রিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং বিপাক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।

তাই ‘সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়া এবং ভোরে ঘুম থেকে ওঠা একজন মানুষকে সুস্থ, সম্পদশালী ও জ্ঞানী করে গড়ে তুলে’ দৈনন্দিন জীবনে প্রাচীন এই প্রবাদ বাস্তবায়নের এখনই সময়।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on: