সংসার ভাঙল দিয়া মির্জার

অভিনেত্রী-প্রযোজক দিয়া মির্জা। সম্প্রতি একটি ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন এই অভিনেত্রী। সিরিজটির নাম ‘কাফির’।

বহুদিন পর অভিনয়ে ফিরে বেশ সাড়াও পাচ্ছেন নায়িকা। নিজেই জানালেন সে কথা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, অনেকদিন পরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্মিত একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করে বেশ সাড়া পাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ সিরিজটির প্রশংসা করছেন।

তবে সেই সাক্ষাৎকারে নায়িকা শুধু সুসংবাদই নয়, একটি দুঃসংবাদও জানালেন। বললেন, স্বামী সাহিলের সঙ্গে আর একই ছাদের নিচে থাকছেন না তিনি। দীর্ঘ ১১ বছর একই ঘরে থেকে এখন আলাদা হয়ে গেছেন তারা।

স্বামী সাহিলের সঙ্গে অভিনেত্রী দিয়া মির্জা

এর আগে, ২০১৪ সালে আভাদি রীতিতে বিয়ে করেন দিয়া মির্জা ও সাহিল। সব মিলিয়ে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব ছিল নাকি ১১ বছর। অর্থাৎ বিয়ের আগেও তারা পরস্পরকে চিনতেন, জানতেন। কিন্তু এখন আর কেউ কারো চেহারা দেখছেন না।

তবে দিয়া মির্জা বিবৃতিতে তাদের বিচ্ছেদের খবর জানালেও এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

এর আগে ইনস্টাগ্রামের যৌথ বিবৃতিতে দিয়া ও সাহিল জানান, ১১ বছর ধরে তারা ছিলেন একসঙ্গে। সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়েছিলেন দুজনে। তবে এবার একসঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তারা। তবে তাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সবকিছুই থাকবে আগে। শুধু ভাগাভাগি আর হবে না বলে জানান দিয়া-সাহিল।

ইনস্টাগ্রামের যৌথ ওই বিবৃতিতে তারা এও জানান, এত দিন একসঙ্গে থাকার জন্য তারা সব সময় পরম্পরের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন। ওই সময় ধন্যবাদও জানান দুই পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও সাংবাদিকদের।

প্রথম ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক ২০০০’ নির্বাচিত হয়ে ভারতীয় শোবিজে পা রাখেন দিয়া মির্জা। পরের বছর ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল ম্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউড অভিষেক হয় এই নায়িকার। এরপর একে একে ‘তুমসে নেহি দেখা’, ‘দাস’, ‘লাগে রাহো মুন্নাভাই’, ‘হানিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘শুটআউট অ্যাট লোখান্ডেওয়ালা’, ‘ক্রেজি ফোর’, ‘সাঞ্জু’ ছবিতে দেখা যায় দিয়া মির্জাকে।

টাইমস/জেকে/এসআই