সুস্বাস্থ্যের জন্য শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য

সুস্বাস্থ্যের জন্য সবার নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। তবে শিশুদের বেলায় পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য একটু বাড়তি গুরত্ব দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক যথাযথ বিকাশের জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে ভবিষ্যৎ ওজন ভারসাম্য এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য শৈশব থেকেই নিয়মিত ও পরিমিত ঘুম প্রয়োজন।

এই গবেষণায় দেখা যায়, ৯ বছর পর্যন্ত যেসব শিশুর নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম হয়নি, ১৫ বছর বয়সে গিয়ে তাদের স্বাভাবিক ঘুমের স্থায়িত্ব কমেছে এবং বিএমআই (দেহের ভর সূচক) এর মাত্রা বেড়ে গিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরফিউ বুক্সটন বলেন, শৈশবের ঘুমের অভ্যাস কিশোর বয়সে গিয়েও শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং বিএমআইকে প্রভাবিত করে। তাই শিশুর ভবিষ্যৎ সুস্বাস্থ্যের জন্য শৈশব থেকেই একটি নিয়ম মাফিক জীবনযাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

স্লিপ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় ২১৯৬জন শিশুর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। দেখা যায়, মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ শিশুর ৫-৯ বছর বয়সে পর্যাপ্ত ঘুমিয়েছে।

অধ্যাপক বুক্সটন বলেন, শিশুদের স্বাভাবিকভাবে ঘুম না আসলেও তাদের জন্য ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয়।

এ ব্যাপারে শিশুর ঘুম ও স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে মা-বাবাকে সচেতন করতে পারিবারিক শিক্ষার উপর গুরত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে নিম্ন-আয়ের ও অল্প-শিক্ষিত মা-বাবাকে এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসতে হবে বলে সুপারিশ করেন আরেক গবেষক লী।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on: