ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট চেয়ে সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ–আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ায় মাত্র দুই মাসের মাথায় এ আবেদন করলেন তিনি। সরকার প্লট দিলে ‘চিরকৃতজ্ঞ’ থাকবেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বিএনপির মনোনয়নে এবারই প্রথমবারের মতো সাংসদ হন তিনি।
রুমিন ফারহানা গত ৯ জুন সাংসদ হিসেবে শপথ নেন। আর প্লটের জন্য আবেদন করেন ৩ আগস্ট।
সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদনে রুমিন ফারহানা বলেছেন, ঢাকার পূর্বাচলে তার ১০ কাঠার একটি প্লট প্রয়োজন। ঢাকায় তার কোনো জমি বা ফ্ল্যাট নেই। ওকালতির বাইরে তার কোনো পেশা বা ব্যবসা নেই। ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেয়া হলে তিনি ‘চিরকৃতজ্ঞ’ থাকবেন বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্লট চেয়ে সাংসদ রুমিন ফারহানার একটি আবেদন তিনি পেয়েছেন। আইন অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংসদকে ‘অবৈধ’ বলে আসা এবং বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচক হিসেবে রুমিন ফারহানা বেশ পরিচিত। সরকারের কাছে তার প্লট চাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
প্লট চাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সুবিধা। এটা কোনো সরকারের কাছে চাওয়া না। রাষ্ট্রের কাছে চেয়েছি। রাষ্ট্রীয় পদের কারণে বেশ কিছু অধিকার হয়—গাড়ি, প্লট। আমি জানি তারা আমাকে এক কাঠাও দেবে না। তবু আনুষ্ঠানিকতার জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু আমি জানতাম না কোনো মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি এভাবে বের হয়। বিরোধী মতকে নগ্নভাবে তুলে ধরছে তারা।’ বাকি যারা প্লট চেয়ে আবেদন করেছেন, তাদের সবার নাম প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
‘মন্ত্রী–এমপি না হয়েও কেউ কেউ শুল্কমুক্ত গাড়ি পেয়ে গেছেন। আমি তো এক সুতা জমিও পাইনি। তার আগেই আমার চিঠি ভাইরাল হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনো অবৈধ কাজ করিনি’- বলেন রুমিন ফারহানা।
এ বিষয়ে দল থেকে তাকে কিছু বলা হয়েছে কি না, তা জানতে চাইলে রুমিন ফারহানা বলেন, দল থেকে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো বক্তব্য আসেনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আটটি আসনে জয়লাভ করে। নানা নাটকীয়তার পর শেষ সময়ে এসে বিএনপির ছয় সাংসদের পাঁচজন শপথ নেন। আর আগে গণফোরামের দুই সাংসদ শপথ নেন। শপথ না নেয়ার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর সেখানে নির্বাচনে বিএনপির জি এম সিরাজ নির্বাচিত হন।
টাইমস/এসআই