চীনের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ বাংলাদেশের পাঁচ ব্যাংক

আমদানি মূল্য সময় মতো পরিশোধ না করার অভিযোগে পদ্মা ব্যাংককে (সাবেক ফারমার্স) কালো তালিকাভুক্ত করেছে চীন। এর আগে ২০০৮ সালে ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, ন্যাশনাল, ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করে চীন। এর ফলে চীনের সঙ্গে এই পাঁচ ব্যাংকের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করা হলো।

সম্প্রতি বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ফারমার্স ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে পদ্মা ব্যাংক করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এ ব্যাংক চীন থেকে পণ্য আমদানির দায় পরিশোধ করতে পারছে না। ফলে চীনের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিতে পড়েছেন। তাই পদ্মা ব্যাংকের সব ঋণপত্র গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেয়া হলো।

জানা গেছে, চীনে একটা প্রতারক চক্র গড়ে উঠেছে, যারা দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তায় রপ্তানি ঋণপত্র নিলেও ঠিকমতো পণ্য পাঠাচ্ছে না। এ কারণে অনেক সময় খালি কনটেইনারও আসার ঘটনাও ঘটেছে। আবার বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির কোনো নথিও নেই। এরপরও তারা পণ্যমূল্য দাবি করছে। এসব ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে, আদালতে মামলাও চলছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে আই হোসেন বলেন, চীন সরকার বাংলাদেশের পাঁচটি ব্যাংককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এ কারণে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা চীন থেকে পণ্য আমদানি করতে পারছি না। বিষয়টি সুরাহার জন্য আমরা চীন দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায়। এ জন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ