ফ্রিজ কিনে লাখপতি রংপুরের চা বিক্রেতা বাবুল

কিস্তিতে বাসায় ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন বাবুল হোসেন। আর তাতেই ভাগ্য খুলে যায়। মাত্র ৬ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পেয়ে যান নগদ এক লাখ টাকা।

বাবুল রংপুরের তারাগঞ্জের হাজীপাড়ার একজন চা বিক্রেতা। লেখাপড়া জানেন না তেমন। দুই মেয়ের জনক তিনি।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার ক্রেতাদের এ সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনলেই রয়েছে ১ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিংবা ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এছাড়াও ওয়ালটনের ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধায় দেশব্যাপী ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ২০ জনের অধিক মানুষ। দেশের যেকোনো ওয়ালটন শোরুম থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। ওয়ালটননের এসব সুবিধা থাকছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

শহরের কিশোরগঞ্জ রোডের ওয়ালটনের পরিবেশক শো-রুম ‘এ আর ইলেকট্রনিক্স’-এর সাব-ডিলার ‘মেসার্স স্বপ্নীল এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ২৬,৯৫০ টাকার সাড়ে ১৩ সিএফটির একটি ফ্রিজ কিনেন বাবুল। কিন্তু এত টাকা একবারে পরিশোধ করার সামর্থ্য নেই বাবুলের। তাই কিস্তির শর্তে কিনে ৬ হাজার টাকা জমা দেন তিনি। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর শরফুদ্দীন আহমেদ, ‘এ আর ইলেকট্রনিক্স’-এর স্বত্ত্বাধিকারী খাদেমুল ইসলাম, ‘মেসার্স স্বপ্নীল এন্টারপ্রাইজ’-এর স্বত্ত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন এবং ওয়ালটনের রংপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার শাহেদ ইকবাল।

বাবুল হোসেন জানান, তার অনেক আত্মীয়-স্বজন ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনছে। তাদের কাছে শুনেছেন ওয়ালটনের ফ্রিজ খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। ফ্রিজ কিনলে সঙ্গে নাকি অনেক পণ্যও ফ্রি পাওয়া যায়। এসব কারণে তিনি ওয়ালটন ফ্রিজই বেছে নেন বাসায় ব্যবহারের জন্য।

তিনি আরো বলেন, টাকার অভাবে ৩ মাসের কিস্তিতে ফ্রিজটি কিনি। রেজিস্ট্রেশনের পর ওয়ালটনের কাছ থেকে যখন এক লাখ টাকার ম্যাসেজ পাই, তখন বিশ্বাস হয়নি। পরবর্তীতে শোরুমে দেখা করে চেক বুঝে নিতে বললে, আনন্দে আত্মহারা হই। মনে হলো- আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম।

ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে আমি খুবই ভাগ্যবান। আমার দুই মেয়ে আছে। তাই ভাবছি টাকাগুলো ব্যাংকে রেখে দেই। ভবিষ্যতে ওদের জন্য খরচ করতে পারব, যোগ করেন বাবুল।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ