মুলা, নাম শুনেই অনেকে ভ্রু কুঁচকান। ঝাঁঝ ওয়ালা গন্ধের কারণে অনেকেই মুলা খেতে চান না। অথচ এই সবজিটি হতে পারে আপনার অসংখ্য রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
মুলা লিভার এবং পাকস্থলীর জন্য দারুণ উপকারী। এটি শরীর পরিষ্কার করতে প্রাকৃতিকভাবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মুলা জন্ডিস রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। এটা বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, মুলার মেলা পুষ্টিগুণ। মুলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও ভিটামিন-সি। এতে থায়ামিন, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন, ফলিক এসিড এবং ভিটামিন-বি ৬, এ ও কে রয়েছে। এছাড়া এটি আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও জিঙ্কেরও ভালো উৎস।
পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম আহার উপযোগী মুলাতে জলীয় অংশ ৯৫.৩ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৯ গ্রাম, শর্করা ৬.৮ গ্রাম, প্রোটিন ১.৩ গ্রাম, আঁশ ০.৮ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি, ভিটামিন-বি ০.০৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৩৫ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৫ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২২ মিলিগ্রাম, ক্যারটিন ৭ ইউনি, পটাসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-কে ১.৩ মাইক্রোগ্রাম, জিংক ০.৩ মিলিগ্রাম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ৩১ মিলিগ্রাম এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড ১৭ মিলিগ্রাম।
এ তো গেল তাত্ত্বিক কথা; আসুন জেনে নিই নিয়মিত মুলা খাওয়ার উপকারিতা এবং এর মাধ্যমে যেসব রোগ এড়ানো যায়-
টাইমস/জিএস