ভারতের লোকসভা নির্বাচন ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। এবারের নির্বাচনের হাওয়া পশ্চিমবঙ্গে যেন একটু বেশিই বইছে। রাজ্যটিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের পক্ষে একের পর এক জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে মোদি রোববার পশ্চিমবঙ্গে এসে কোচবিহারে জনসভা করেন।
মোদিকে টেক্কা দিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনিও একই দিনে জলপাইগুড়িতে জনসভা করেছেন। দু'জনই দু'জনকে বাক্যবাণে করছেন ধরাশায়ী। দুই নেতার প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের হাওয়া তুঙ্গে।
মমতার মঞ্চকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, বিজেপির সভায় যাতে ভিড় কম হয় সে জন্য মমতার মঞ্চ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আপনারা যতবার মোদি মোদি স্লোগান দিচ্ছেন, ততবার দিদির রাতের ঘুম চলে যাচ্ছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাচ্চাদের মতো রেগে যাচ্ছেন। মোদি বলেন, এ জনসমাবেশ প্রমাণ করছে, এ রাজ্য দিদির হাত থেকে মুক্তি চাইছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলে কী অবস্থা হয় সেটা দিদিকে দেখে বোঝা যাচ্ছে।
এদিকে, মোদিকে মোহাম্মদ বিন তুঘলকের ঠাকুরদা বলে কটাক্ষ করেন মমতা। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, আগে ছিল চাওয়ালা এখন হয়েছে চৌকিদার। সবাই বলছে, চাওয়ালা পালিয়ে গেছে।
এনআরসি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসির নামে সবাইকে তাড়িয়ে দিতে চাইছে। বিজেপি এনআরসির নামে বাঙালিদের পরিচয় ছাড়া করতে চাচ্ছে। আমি বলছি, গায়ে হাত দিয়ে দেখুন, যে হ্যাঙ্গারের তলায় মিটিং করেছেন, ওই হ্যাঙ্গারের তলায় ঢুকিয়ে দেব। মমতা বলেন, অনেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি, এমন বাজে কথা বলা প্রধানমন্ত্রী আগে দেখিনি। এত নিম্নমানের প্রধানমন্ত্রী দেখিনি।
টাইমস/জিএস