এক দরিদ্র বৃদ্ধ দম্পতি, ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাপুরের চামরি গ্রামের বাসিন্দা। তাদের ঘরে একটি মাত্র ফ্যান ও কয়েকটি বৈদ্যুতিক লাইট। প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসত ৭০০ থেকে ৮০০ রুপি।
কিন্তু জুন মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পেয়ে ভিমড়ি খাওয়ার অবস্থা বৃদ্ধ শামীমের। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এ মাসে তার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল পাঠিয়েছে ১২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৪ রুপি।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে ষাটোর্ধ্ব শামীম জানান, বিলের ভুল সংশোধন করতে তিনি স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যালয়ে গিয়ে আরও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
সেখানকার কর্মকর্তারা তাকে ১২৮ কোটি রুপির বিল পরিশোধেই তাগাদা দেন। এমনকি তার বাড়ির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।
শামিম জানান, এখন কেউ আমার কথা শুনছেন না। এত টাকা দেব কী করে! মনে হচ্ছে গোটা হাপুরের বিল আমার মাথায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বিদুৎ অফিস থেকে বলা হয়েছে, ওই টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত আর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে না।
শামীমের স্ত্রী খাইরুন্নিসার প্রশ্ন আমরা কেবল লাইট ও ফ্যান চালাই। কীভাবে এতটাকা বিল হলো? আমরা দরিদ্র, কীভাবে আমরা এত টাকা শোধ করবো।
দুই কিলোওয়াটের সংযোগ ব্যবহারকারী কী করে ১২৮ কোটিরও বেশি রূপির বিদ্যুৎ বিল পেলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে উত্তর প্রদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রকৌশলী বলেন, এটি মোটেও ‘বড় কোনো ব্যাপার নয়’। বিদ্যুৎ বিভাগে বিলটি পাঠিয়ে দেয়া হলেই ওই ‘কারিগরি ত্রুটি’ ঠিক করে নতুন বিল দেয়া যাবে।
টাইমস/জিএস