গার্লফ্রেন্ড খুঁজতে বোনকে অনুরোধ, তবুও নি:সঙ্গ ক্রিস্টিয়ান

আমার ভাইয়ের একজন বান্ধবী প্রয়োজন। এবং এ বিষয়টি সপ্তাহ ধরে সে তার ফেসবুক পেইজে লিখেছে এবং আমাকেও মেসেজ দিয়েছে। একদিন মধ্যরাতে আমি তার এসএমএসটি পড়লাম। সে লিখেছে ‘আমি একা, তুমি কি আমাকে একটা গার্লফ্রেন্ড খুঁজে পেতে সাহায্য করবে? যদিও এটা বড় কঠিন।

ক্রিস্টিয়ান একজন রেডিও ডিজে। যে কি না একটি স্যুপ কিচেন ও গৃহহীনদের জন্য প্রচারণায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করে। সে ব্রাইটনের সমুদ্র তীরে বসবাস করে। ভালোবাসার ক্ষেত্রে যে কোনো মিডিয়া ব্যক্তিত্বের তুলনায় আমি তাকে এগিয়ে রাখতে চাই। ৪৭ বছরের ভাইটি আমার অসম্ভব রকমের সামাজিক, সুদর্শন এবং দর্শনীয় চুলের অধিকারী। 

তিনি আমাকে তার জন্য একটি ডেটিংয়ের জায়গা খুঁজতে বললেন। এবং সেইসঙ্গে সেটি তার প্রোফাইলে যেন সেট করি তাও বললেন। কাজটি সহজ মনে হলেও আদতে বেশ কঠিন। ক্রিস্টিয়ান, যে কিনা একাকী বাস করে এবং তার এ বিষয়ক জ্ঞানের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। কেননা পেশাগত জীবনে প্রচণ্ড ব্যস্ত ক্রিস্টিয়ান এ ধরনের নেট ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনেও খুব অনিয়মিত।

সাধারণত ক্রিস্টিয়ান যখন কিছু চায়, তখন সে তা প্রকাশ করতে পারে। সে অপ্রত্যাশিতভাবে কথোপকথনের মধ্যে বিরতি দেয়। আমি তাকে বললাম তুমি খুব মনে রাখার মতো। তারপর সে আমাকে জিজ্ঞেস করলো তাহলে কেন আমি বান্ধবী পাচ্ছি না?

সে খুব সহজ-সরল এবং প্রাণ খোলা। তবে আমি কেবল এ কারণেই বলি না যে আমি তার বোন হিসেবে গর্বিত। বরং এটি দেখানোর জন্য যে, ক্রিস্টিয়ানের শিক্ষণটা এক ধরনের অক্ষমতা তবে জীবনের পূর্ণরূপ থেকে বঞ্চিত করে রাখেনি। সাধারণত আমি তাকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই। তবে বিষয়টি ভাবতেই খারাপ লাগছে যে সে কেবল একজন বান্ধবীই চায় এবং সেটি তার হবে বলে মনে হয় না।

সে টেলিভিশন শো ‘দ্য আনডেটেবলস’-এ থাকার জন্য দু’বার আবেদন করে এবং দু’বারই প্রত্যাখ্যাত হয়। আমরা সে সময় তাকে বলি তুমি খুব মনে রাখার মত। এবং তখনো সে আমাদের কাছে তার গার্লফ্রেন্ড কামনার বিষয়টিই জানায়। তার ভাষ্য-তাহলে কেন আমি বান্ধবী পেতে পারি না?

বান্ধবী খুঁজতে মরিয়া ক্রিস্টিয়ান তিনদার এবং বাইদুতে একাউন্ট খোলে। তবে তার প্রক্রিয়া বেশ কঠিন। কেননা ডেটিং নিয়ে সে যে ধরনের কথপোকথন করতে চায় এ সাইট দুটোতে তার বেশিরভাগেরই অনুমোদন নেই। 

সম্প্রতি তিনি হোয়াটসআপ সূত্রে পাওয়া এক মহিলার সঙ্গে স্থানীয় ক্যাফেতে দেখা করেন। সে সময় তিনি তার ফোনটির চার্জারও ফেলে যায়। যে কারণে তার সঙ্গে আমাদের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কোনো যোগাযোগ ছিলো না। এর জন্য পরিবারে ব্যাপক প্যানিক তৈরি হয়। আমার বোন এবং আমি বিষয়টি পুলিশের কাছেও জানাতে চেয়েছিলাম। তবে আমার চাচাতো ভাই যে কি না ক্রিস্টিয়ানের খুব ঘনিষ্ট ছিলো তার পরামর্শে অপেক্ষা করি। এবং সে রোববারই বাড়িতে ফেরে। সে সময় তাকে কিছুটা উদভ্রান্ত দেখালেও সুখী মনে হয়েছিল।  

আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনুমান করতে পেরেছিলাম যে, তার শেখার অক্ষমতার সঙ্গে একটি মহিলা ছিল। এবং ডেটিং সম্পর্কে সে কিছু শিখেছে। প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের কথোপকথন যে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে নিরাপত্তার দিকে নিয়ে আসে সেটি সে ডেটিংয়ে শিখেছে। এবং এই ডেটিং বা প্রেম জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সমৃদ্ধ জীবনের দিকে উৎসাহিত করে।

সম্প্রতি আমি ফ্লেমের সাথে ক্রিস্টিয়ানকে সাইন আপ করার চেষ্টা করেছি একটি ডেটিং অ্যাপস থেকে। সেখানে আমি বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যপদ নিয়েও আলোচনা করেছি। সেখানে যারা ম্যাচিংয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তবে তারা আমাকে বলেছেন যে, ৪৭ বছরের একজন পুরুষের জন্য যুতসই ম্যাচ খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। আসলে এই বয়সে ম্যাচিং সাইটগুলোতে যারা আবেদন করে তাদের বেশিরই পুরুষ। যে কারণে একজন গার্লফ্রেন্ড খুঁজে পাওয়ার জন্য ক্রিস্টিয়ানের যে ব্যাকুলতা তা কেবল বাড়তেই থাকবে।  

 

টাইমস/এমএস 

Share this news on: