গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলাকালীন সময় ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছেন অধ্যক্ষ।
বুধবার মাদ্রাসাটির দাখিল শ্রেণির ছাত্রদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্ররা পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরে অন্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় তারা আবারও পরীক্ষা দেয়।
ওই মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার তাদের বাংলা পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার প্রথম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসাইন কাঁচি দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়।
তারা জানান, এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষা না দিয়ে বেরিয়ে আসার পর আমাদের দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। এর পরে আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসাইন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সব ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ওদের চুল কেটে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি ওদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে থাকা ও নীতিনৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে ফরম পূরণ করতে দেব না এ কথা বলিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাইমস/এইচইউ