ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নয়জনকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত মানুষ। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
নিহতদের মধ্যে- মাহাফুজ ও মিজানের নাম জানা গেছে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- বোরহানউদ্দিনের ছোটমানিকা এলাকার মিজানুর রহমান (৩০), নান্টু (৪০), মাকসুদুর রহমান (১৮), তানভীর (৩০), অলিউল্লাহ (৪০), সিদ্দিক (২৮), তাহের, শামীম ও সোহরাব।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিপ্লব নামে এক যুবকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার ওই যুবকসহ আরো একজনকে আটকও করে পুলিশ।
ফেসবুক পোস্টটির জেরে রোববার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় স্থানীয় লোকজন। তারা বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।
রোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহীন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মাহফুজ ও মিজানের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতাবস্থায় বেশ কয়েকজন ভর্তি রয়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্রনাথ মজুমদার চারজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজনের মরদেহ এবং সদর হাসপাতালে নাম না জানা এক ব্যক্তির মরদেহ রাখা হয়েছে। পরে আব্দুল গণি নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সারও চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনুমতি ছাড়াই তারা সমাবেশ করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের দ্রুত শেষ করতে বলি। কিন্তু তারা কথা না শুনে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়তে বাধ্য হই আমরা।
টাইমস/এইচইউ