একদিকে চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এর মধ্যে হানা দেয় এই শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোন আম্পান। এর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূলসহ দেশের ২৬টি জেলা। প্রাণ গেছে ২২ জনের। এর রেশ কাটতে না কাটতেই কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা ঝড়, বজ্রপাত ও নৌকাডুবিতে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯ জন। বুধবার বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণ গেছে অন্তত ১০ জনের। বুধবারের রাতে কালবৈশাখীতে ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বেশি। এছাড়া কুড়িগ্রামের উলিপুরে নৌকাডুবে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বুধবার ঢাকায় চলতি মৌসুমে সবচেয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী রেকর্ড করা হয়েছে। ওই দিন ঢাকায় ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে গেছে। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে রাস্তার ওপরে পড়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। হাইকোর্ট, রমনা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
জানা গেছে, শিবগঞ্জের পারকৃঞ্চগোবিন্দপুর বিন্দুপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে রুমালী খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সন্ধ্যায় রানিনগর হঠাৎপাড়ায় বজ্রপাতে মারা যান মামুন।
নওগাঁর ধামইরহাটের অমরপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে আবু ইছা নামে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বোন মহিষা বেগম আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বজ্রপাতে মোমেনা খাতুন নামে এক বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার শেখেরতালুক গ্রামের শফিউল আলমের স্ত্রী।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কিল্লাপাড়া গ্রামে তোফায়েল আলম নামে হাঁস খামারি বজ্রপাতে মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের নজি ফকিরের ছেলে।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বজ্রপাতে অভিমান্ন সাঁওতাল নামে এক চা-শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার স্ত্রী অনিতা সাঁওতাল আহত হয়েছেন।
বরিশালের মুলাদীর পশ্চিম চরভেদুরিয়া গ্রামে বজ্রপাতে আবদুল মন্নান হাওলাদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মন্নান মৃত আছমত আলী হাওলাদারের ছেলে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের চন্ডিপুর ইউনিয়নে তিস্তা নদীর চরে বজ্রপাতে আবদুল মমিন মিয়া নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে চররাঘব গ্রামে বজ্রপাতে ৬টি গরু মারা যায়।
টাইমস/জেকে