ট্রলার বোঝাই চাই নিয়ে (মাছ ধরায় ব্যবহার হয়) ইয়াসিন হাওলাদার (২৫) ও তার বাবা হেলাল উদ্দিন হাওলাদার (৫০) শুক্রবার বরিশালের বাকেরগঞ্জের কবাই হাটে আসেন। সেখানকার এক ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে ৬০টি চাই ক্রয় করেন। এরপর ওই চাই তার বাড়িতে দিয়ে আসতে বলেন। ট্রলারসহ চাই পৌঁছে দিতে গিয়ে তারা আর ফিরে আসেনি।
পরে শুক্রবার রাত ৯টায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপাশা গ্রামের পান্ডব নদী তীরের ঝোপ জঙ্গল থেকে ইয়াসিনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে শনিবার সকাল ৭টার দিকে ছেলের মরদেহ থেকে পাঁচশ গজ দূরে বাবা হেলাল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হেলাল উদ্দিন হাওলাদার ও ইয়াসিন হাওলাদার পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা পেশায় চাই (মাছ ধরায় ব্যবহার হয়) বিক্রেতা। ছিলেন
এ ঘটনায় হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী নাসিমা বেগম বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে শনিবার সকালে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হেলাল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে। তার পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর আগে শুক্রবার ছেলে ইয়াসিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চাই ব্যবসায়ী বাবা ও ছেলেকে কারা কেন হত্যা করেছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। পুলিশ অচিরেই বাবা ও ছেলেকে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
টাইমস/এইচইউ