গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য ‘গণস্বাস্থ্য প্লাজমা সেন্টার’ চালু করতে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির স্মরণে আগামী ১৫ আগস্ট ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এই সেন্টার উদ্বোধন করা হবে।
বুধবার দুপুরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি সম্পূর্ণ মানবিক তাগিদে ‘গণস্বাস্থ্য প্লাজমা সেন্টারে’ রক্ত প্রদানের জন্য দেশের সব করোনামুক্ত ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি জানিয়েছেন, চালুর পর থেকে প্রাথমিক অবস্থায় আমরা প্রতিদিন ২৫ জন রোগীকে প্লাজমা দিতে পারব। প্লাজমা সংগ্রহ ও প্রদানের জন্য বিদেশ থেকে আরও মেশিন আমদানি করা হচ্ছে। তখন প্রতিদিন ৬০ জন রোগীকে প্লাজমা দেওয়া যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকার ভুল পথে হাঁটছে জানিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালের লাইসেন্স নিয়ে তাদের যতো মাথাব্যথা, সেবার সহজলভ্যতা ও সুলভমূল্যে বা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সেবা প্রদানের বিষয়টি তাদের চিন্তার মধ্যেই নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষ অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়েন। অন্য চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হলে তারা নতুন জীবনীশক্তি ফিরে পান। কিন্তু দেশে প্লাজমা গ্রহণ ও প্রদানের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করে মাত্র ২০০ মিলিলিটার প্লাজমা নিতে হচ্ছে। এমন নৈরাজ্য অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষেত্রেও দেখেছি।
সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা চিন্তা করেই প্লাজমা সেন্টারটি চালু করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও প্লাজমা পাওয়া যাচ্ছে ৫ হাজার টাকায়, কিন্তু সেটি আমজনতার সবাই পাচ্ছেন না। একে ঘুষ দাও, ওকে ঘুষ দাও, এর সঙ্গে যোগাযোগ করো, ওকে তদবির করো, এভাবেই চলছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালেই প্লাজমা সেন্টার স্থাপন করা উচিত বলে জানান তিনি।
টাইমস/এইচইউ