বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ভবনের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম ও ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার দুপুর ২টায় দুজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসিন আহসান চৌধুরী ওই দুজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং অগ্নিকাণ্ডের সঠিক তথ্য ও পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য অভিযুক্তদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করা হয়।
শনিবার রাতে এস এম এইচ আই ফারুককে বারিধারার বাসা থেকে এবং তাসভিরুল ইসলামকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) ওবায়দুল রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার সকালে বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তভার ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন এবং হাসপাতালে আরো একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন।
এফ আর টাওয়ারে আগুনের হতাহতের ঘটনায় শনিবার বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
মামলায় কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলাম, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে আসামি করা হয়। শনিবার রাতেই তাসভীর উল ইসলাম ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক স্বেচ্ছাসেবী অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নেন। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন মারা গেছেন।
টাইমস/এইচইউ