প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা বাঙালির ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। তাইতো শত বাঁধা, ভোগান্তি আর বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে প্রতি ঈদেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেন রাজধানীবাসী।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় কমলাপুরে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এই দিনে দেয়া হচ্ছে ৩১ মের টিকিট। একজন টিকিট প্রত্যাশী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট নিতে পারছেন।
সকাল থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও মঙ্গলবার রাত থেকেই স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন ঘরমুখো টিকিট প্রত্যাশীরা। আর তাই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন কাউন্টারে এখন টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়।
জনগণের দুর্ভোগ কমাতে এবারই প্রথম রাজধানীর পাঁচটি স্থান ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রাজধানীর পাঁচটি স্থান হলো-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর স্টেশন, তেজগাঁও, বনানী ও ফুলবাড়িয়া।
এরমধ্যে কমলাপুর থেকে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট, তেজগাঁও থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট, বনানী থেকে নেত্রকোণাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেসের টিকিটএবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেল স্টেশন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ মে দেয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেয়া হবে ৪ জুনের টিকিট। ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।
রেলসূত্রে জানা যায়, এ বছর ৫০ ভাগ টিকিট অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি হবে। এছাড়া প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই হিসেবে ঈদের পাঁচ দিনে তিন লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। ৯৬টি আন্তনগর ট্রেনের পাশাপাশি আট জোড়া বিশেষ ট্রেনও নামানো হবে।
টাইমস/জিএস