রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর জন্য বালিশসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্রয়ে অনিয়মের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কেন গঠন করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে বালিশকাণ্ডের ঘটনায় মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত দু’টি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে ওই প্রতিবেদন অনুসারে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।
এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর ভবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনে তোলায় অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬তলা ৮টি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০তলা আটটি ও ১৬তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
২০ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর ভবনে বালিশ ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা।
প্রতিটি রেফ্রিজারেটর কেনার খরচ দেখানো হয়েছে ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা। রেফ্রিজারেটর ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। একেকটি খাট কেনা দেখানো হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা।
আর খাট ওপরে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা। প্রতিটি টেলিভিশন কেনায় খরচ দেখানো হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা। আর টেলিভিশন ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৬৩৮ টাকা। সব কিছুতেই এভাবে অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়েছে।
গত ২০ মে জনস্বার্থে এ দুর্নীতির তদন্তে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।
টাইমস/এসআই