মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ও আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপ এর তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. রহুল কুদ্দুস জানান, ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত খেপুপাড়ায় ১০২, মীর সরাই ১০৩, চট্টগ্রামে ৯৪, কক্সবাজার ৯৪ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই দুই বিভাগে অধিকাংশ জায়গায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। দুই বিভাগ ছাড়া রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরণে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টির কারণে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
এদিকে ভারী বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদস্থলে সরে যেতে মাইকিং করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকায় চালু করা হয়েছে ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীও।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সরিয়ে নেওয়া লোকজনের নিরাপত্তায় আকবর শাহ এলাকায় পাহাড়তলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফয়’স লেক এলাকার ফিরোজ শাহ ই-ব্লক স্কুল, পলিটেকনিক কলেজ এলাকায় চট্টগ্রাম মডেল হাই স্কুল, জালালাবাদ হাউজিং এলাকায় জালালাবাদ বাজার সংলগ্ন শেড, ট্যাংকির পাহাড় এলাকায় আল হেরা ইসলামিয়া মাদ্রাসা, মিয়ার পাহাড় এলাকায় রৌফাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝর্ণা পাহাড় এলাকায় লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পোড়া কলোনি এলাকায় ছৈয়দাবাদ স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
টাইমস/এইচইউ