রাজশাহীর দুর্গাপুরে ‘অস্ত্রের মুখে’ বাড়িতে হামলা চালিয়ে অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পুরান তাহেরপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ওসি খুরশিদা বানু কনা।
এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এসময় কিশোরীর মাকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে তারা।
অপহৃত কিশোরীর বাবা বলেন, বাড়িতে তার মা ও স্ত্রী ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে এসে চার-পাঁচ যুবক বাড়িতে হামলা চালায়। প্রথমে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে। পরে তার কিশোরী মেয়েকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চলে যায়। এ সময় তার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। হামলাকারীদের একজনের হাতে পিস্তল ও একজনের হাতে চাকু ছিল। হামলার সময় বাড়ির বাইরে আরও দুই-তিনজন ছিল বলে পরে জানতে পারেন তিনি। তাদের মধ্যে টুটুল নামে একজন ছিল যে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
জানা যায়, বখাটেদের উত্ত্যক্তের কারণে সম্প্রতি ওই কিশোরীর বিয়ে ঠিক করে পরিবার সদস্যরা। ১০ সেপ্টেম্বর তার বিয়ের দিন ঠিক করা রয়েছে।
ওসি খুরশিদা বানু কনা বলেন, অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে নেমে পড়ে। আশপাশের সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, কিশোরীকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের পর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টাইমস/এইচইউ