বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতির কলার ধরার ছবি নিয়ে গণমাধ্যমের যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা সত্য নয় বলে জানা গেছে।
গণমাধ্যমে প্রথমে খবর বের হয়, বুধবার ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা ফেরার পথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বগুড়ায় যান। সেখানে দুপুরে শহরতলির মমো ইন হোটেলের জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার মতবিনিময় সভা ছিল।
দুপুরে ওই হোটেলের লিফটে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুলের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় বিএনপি মহাসচিবের। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাইফুলের কলার ধরেন মির্জা ফখরুল। পরে এ ছবি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয় দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে।
তবে আসল ঘটনাটি কী ঘটেছিল তা জানতে চাইলে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে তার কোনো বাকবিতণ্ডা হয়নি। লিফটের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়েছিল।
তিনি জানান, মহাসচিব নিজের এলাকা ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা ফেরার পথে বুধবার বগুড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করতে চেয়েছিলেন। বিষয়টি তাকে জানালে তার ঢাকায় কথা থাকায় সাধারণ সম্পাদককে এ দায়িত্ব দেন তিনি।
বগুড়া বিএনপি সভাপতি আরও বলেন, কোথায় কীভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে তার ফলোআপ আমাকে জানানো হয়নি। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে ফিরে এসে জানতে পারি, স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মহাসচিবকে নিয়ে ওই হোটেলের সাত তলায় লিফটে যাওয়ার সময় আমি সাধারণ সম্পাদককে প্রশ্ন করি, কেন আমাকে ফলোআপ জানানো হলো না। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব একজন সম্মানিত ব্যক্তি। উনার সঙ্গে বাকবিতণ্ডার প্রশ্নই আসে না। উনাকে আমরা সবাই শ্রদ্ধা করি। উনি আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। উনাকে কেন্দ্র করে যে খবর পরিবেশন করা হয়েছে তাহা সঠিক নহে।
প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছিল- সে প্রশ্ন করলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনও বলেন, লিফটের ভিতরে অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে সভাপতির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়েছে।
তিনি বলেন, লিফট যখন প্রায় সপ্তম তলার কাছাকাছি তখনও বাকবিতণ্ডা চলে। মহাসচিব দুজনকেই বাকবিতণ্ডা থামানোর কথা বলে। এদিকে লিফট সপ্তম তলায় চলে এলেও বাকবিতণ্ডা থামে না।
জয়নাল আবেদীন বলেন, লিফটের দরজা খুলে যাওয়ার পর তখন বাইরে এক ঝাঁক অপেক্ষমাণ ফটো সাংবাদিকদের দেখে মহাসচিব উচ্চস্বরে বলেন, এই মিডিয়ার সামনেও তোমরা একি করছ! সভাপতিকে থামানোর জন্যই মিডিয়ার সামনে উনার জ্যাকেট ধরে থামানোর জন্য রাগান্বিত হয়ে ওঠেন।
এ সময় বাকবিতণ্ডা থেমে গেলেও সভাপতির জ্যাকেট ধরে মহাসচিবের থামানোর চেষ্টার ছবি ফটোসাংবাদিকরা তুলে ফেলেন বলে দাবি করেন তিনি।
বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতির কলার ধরলেন মির্জা ফখরুল
টাইমস/এক্স