নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, রুখে দাঁড়াবার এখনই সময়। একথা সত্য, বিরোধী দলীয় রাজনীতি আজ অনৈক্যের কানা গলিতে আর আপসকামিতার চোরাবালিতে আটকে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে এবং নিয়মিত গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে সরকার আজ এতখানি স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণ করতে পারত না।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কার্যকর আছে কিনা- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জোট তো আছে। ঐক্যে ফাটল ধরেছে, বলিনি। বলেছি যে, রাজনৈতিক দলগুলো অনৈক্যের চোরাবালিতে আটকে গেছে, আপসকামিতার ইয়েতে ঢুকে গেছে। আপসকামিতা একটা ব্যাপক শব্দ। এটা সরকারের সাথে হতে পারে, অন্যদের সাথে হতে পারে, নিজেদের মধ্যে হতে পারে, কিন্তু সেটা খুবই দরকার ছিল সম্ভবত ৩০ ডিসেম্বরের ঘটনার পর আন্দোলনের মাঠে থাকা। সেটা তো আমরা আসলে থাকতে পারিনি-এটাই বুঝাতে চেয়েছি।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মান্না বলেন, ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ বিস্তারের কারণে দেশ আজ এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আছে। দেশের সব জেলা এখন ডেঙ্গু কবলিত। অথচ এ পরিস্থিতিতেও মশা মারতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ লাগে। এটা খুবই হাস্যকর। দায়িত্বশীলতার চূড়ান্ত অভাবের কারণেই আজ এই চিত্র আমাদের দেখতে হচ্ছে।
মশা নিধনে বর্তমানের ওষুধটি কার্যকর নয় বলে দাবি করে মান্না বলেন, গত দুই-তিন বছর এমন রিপোর্ট দেখা গেছে যে, শুধু মাত্র পছন্দের কোম্পানিকে অন্যায়ভাবে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য একই ওষুধ কেনা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকা সিটির দুই মেয়র এখনও পর্যন্ত মশা মারার ওষুধ আমদানি করতে পারেননি, কিন্তু তারা মশা মারার নাটক করছেন।
নাগরিক ঐক্যের এই নেতা বলেন, ডেঙ্গুর সিজন এখনও তিন মাস বাকি। আগামী সেপ্টেম্বরে এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠার কথা। আমাদের দেশে যখন ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার, তখন পশ্চিমবঙ্গে প্রকোপ কমে গিয়ে সামান্য পর্যায়ে আছে। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ সরকার থাকলে, সেটার ফল কী হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ তা দেখিয়েছে। আর মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে, তার ফল কী হয়, সেটার প্রমাণ বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে দলের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, কেন্দ্রীয় নেতা মোমিনুল ইসলাম, মোফাখারুল ইসলাম নবাব, শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহিদ-উর রহমান ও জিল্লুর চৌধুরী দিপু উপস্থিত ছিলেন।
টাইমস/এসআই