জয় দিয়ে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শুরু করলো দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউক্রেনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফরাসিরা। ম্যাচের ১০ মিনিটে ওলিসের গোলে লিড নেয় ফ্রান্স। দ্বিতীয় গোলটি আসে ম্যাচের ৮২ মিনিটে, কিলিয়ান এমবাপ্পের পা থেকে। একরই রাতে ‘আই’ গ্রুপের ম্যাচে এস্তোনিয়ার জালে ৫ গোল দিয়েছে ইতালি।
পুরো ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে খেলেছে ফ্রান্স। ম্যাচের প্রায় ৫৬ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে গোলের জন্য মোট ১৬টি শট নিয়েছে তারা। তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৬টি শট। বিপরীতে ইউক্রেন শট নিয়েছে ৮টি, তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র ৩টি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ফ্রান্স এগিয়ে যায় ১০ মিনিটে। বার্কোলার পাস থেক বক্সে ফাঁকা জায়গায় পেয়ে যান ওলিস, বাঁ পায়ের নিচু শটে জালে বল জড়ান তিনি। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এই মৌসুমে তার গোল হলো ৫টি।
এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুয়ের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন উসমান দেম্বেলে। ৫৮তম মিনিটে একটি সুযোগও পান এই ফরোয়ার্ড, তবে তার নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন ইউক্রেনের গোলরক্ষক।
৬৫তম মিনিটে কোনোমতে গোল হমজ থেকে বেঁচে যায় ফ্রান্স। আর্তেমের হেড গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় হেডে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার কোনাতে।
৮২তম মিনিটে দারুণ গোলে ব্যবধান বাড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে। মাঝমাঠ থেকে রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ অহেলিয়া চুয়ামেনির পাস ধরে, সামনে থাকা প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। সেখান থেকে নিচু শটে গোল করেন তিনি।
ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের তালিকায় দুই নম্বরে থিয়েরি অঁরির পাশে বসলেন এমবাপ্পে, দুজনেরই গোল ৫১টি করে। ৫৭ গোল করে চূড়ায় আছেন অলিভিয়ে জিরুদ।
একই সময়ে গ্রুপের আরেক ম্যাচে আজারবাইজানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে আইসল্যান্ড। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। একই দিন আজারবাইজানের বিপক্ষে খেলবে ইউক্রেন।
দিনের আরেক ম্যাচে এস্তোনিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে ইতালি। সবগুলো গোলই হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গোল উৎসবের শুরুটা করেন ময়েস কেন। ৬৯ মিনিটে রাসপাদোরির পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন রেতেগুই।
তার দুই মিনিট পরই স্কোর শিটে নাম তোলেন রাসপাদোরি। ৮৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন রেতেগুই। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে রাসপাদোরির অ্যাসিস্ট থেকে দলের পঞ্চম গোলটি করেন বাস্তোনি।
ইউটি/টিএ