অধিকৃত পশ্চিম তীরকে পুরোপুরি যুক্ত করার নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর ইসরাইলকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। রদশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান স্পষ্ট বলেছেন, এমন পদক্ষেপ নিলে তেল আবিবের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় আব্রাহাম চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইসরাইলের তথাকথিত হামাস-নির্মূল কর্মসূচি বছর ঘুরতেই ফিলিস্তিন নির্মূল সূচিতে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার গাজা ও পশ্চিম তীর দখল নেয়ার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছেন। এ অবস্থায় তার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার বার্তা দিতে শুরু করেছে আরব দেশগুলো।
ইসরাইলি গণমাধ্যম কেএএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রিয়াদে আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় ইসরাইলকে সতর্ক করেন। বলেন, তেল আবিব যদি পশ্চিম তীর দখলের দিকে এগোয়, তবে কোনোভাবেই তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
এর আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাত পশ্চিম তীর দখলকে ‘রেড লাইন’ আখ্যা দিয়ে ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে। জানায়, আব্রাহাম চুক্তির মূল শর্তই ছিল পশ্চিম তীরের দখল থেকে ইসরাইলের সরে যাওয়া। এ অবস্থায়, দখলদার মনোভাব থেকে তেল আবিব সরে না আসলে সেই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে আমিরাত ও সৌদি।
সৌদি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, পশ্চিম তীর সংযুক্তকরণের যেকোনো পদক্ষেপ শুধু আব্রাহাম চুক্তিই ভেঙে দেবে না, বরং সৌদি–ইসরাইল স্বাভাবিক সম্পর্কের পথও চিরতরে বন্ধ করবে।
গণমাধ্যম বলছে, এমন পরিস্থিতি ইরান ও হামাসের কৌশলকে কার্যত শক্তিশালী করবে, যাদের লক্ষ্য আরব-ইসরাইল সম্পর্ক ভাঙা।মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশই এখন স্পষ্টভাবে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দাবিতে জোর দিচ্ছে। শান্তির একমাত্র পথ দ্বিরাষ্ট্র সমাধান উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও করেন আমিরাত প্রেসিডেন্ট।
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট
এমআর/টিকে