মাস্কের সঙ্গে দূরত্বের পর জাকারবার্গকে কাছে টানছেন ট্রাম্প!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের হোয়াইট হাউসে আতিথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ কর্তারা এক নৈশভোজে যোগ দিলেও অতিথিদের তালিকায় ছিলেন না এক সময়ের ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক।

ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের সর্বোচ্চ ব্যক্তিরা। উপস্থিত ছিলেন মেটার মার্ক জাকারবার্গ, অ্যাপলের টিম কুক, গুগলের সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যানসহ একাধিক টেক জায়ান্ট।

এ সময় ট্রাম্প প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের অঙ্ক জানতে চান। জবাবে মেটার প্রধার মার্ক জাকারবার্গ জানান, তার প্রতিষ্ঠানআগামী কয়েকবছরে ৬০০ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করবে, একই পরিমাণের পরিকল্পনা তুলে ধরেন অ্যাপলের টিম কুক।

গুগলের সুন্দর পিচাই উল্লেখ করেন ২৫০ বিলিয়ন ডলার, আর মাইক্রোসফট প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা জানান, বছরে ৮০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের কথা। ট্রাম্প প্রশাসনের এআই-নীতিকে স্বাগত জানিয়ে তারা জানান, দেশজুড়ে ডেটা সেন্টার, উৎপাদন খাত ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিশাল অংকের বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন।

আলোচনায় উঠে আসে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রযুক্তি খাতের বহুমুখী অবদান। জাকারবার্গ জানান, মেটা ও অন্যান্য কোম্পানিগুলো মিলে ২০২৮ সাল পর্যন্ত দেশজুড়ে ডেটা সেন্টার ও গবেষণায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করবে। গুগলের কর্মকর্তারা প্রশাসনের সঙ্গে গড়ে ওঠা ইতিবাচক সম্পর্কের দিকটি তুলে ধরেন।

একইভাবে, অ্যাপল প্রধান টিম কুক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত তাদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে আরও শক্তিশালী করছে। তবে টেক জায়ান্টদের নিয়ে বিশেষ এ আয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক, যিনি একসময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

তাদের প্রকাশ্য সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর এবার তার আসন পূরণ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী এআই উদ্যোক্তা স্যাম অল্টম্যান। সবমিলিয়ে, হোয়াইট হাউসের এ বৈঠককে ওয়াশিংটন ও সিলিকন ভ্যালির সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ওসমান হাদির নিজ জেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ Dec 19, 2025
img
ছায়ানটে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ অর্ণবের Dec 19, 2025
img
হাসিনাকে ফেরত না দিলে বাংলাদেশের মানুষ রাজপথেই থাকবে: নাসীরুদ্দীন Dec 19, 2025
img
দক্ষিণ বিভাগের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পরিদর্শনে ভারতের সেনা কর্মকর্তারা Dec 19, 2025
img
দেশে ফিরতে ট্রাভেল পাস পেয়েছেন তারেক রহমান Dec 19, 2025
img
ওসমান হাদির জানাজা ঘিরে সরকারের নির্দেশনা Dec 19, 2025
img
দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে : গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট Dec 19, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৩৪৫ বাংলাদেশি Dec 19, 2025
img
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ Dec 19, 2025
img
শহিদ ওসমান হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায় Dec 19, 2025
img
ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে শিবিরের বিক্ষোভ Dec 19, 2025
img
বিয়ে করবেন তাই আইপিএল খেলবেন না অজি তারকা Dec 19, 2025
img
ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ ও শোক র‌্যালি Dec 19, 2025
img
শহীদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুলের সমাধির পাশে সমাহিত করা হবে: ইনকিলাব মঞ্চ Dec 19, 2025
img
গাজীপুরে প্যাকেজিং কারখানায় ভয়াবহ আগুন Dec 19, 2025
img
গণমাধ্যমের ওপর হামলা মানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত : জামায়াতে আমির Dec 19, 2025
img
হাদির মৃত্যুতে স্থগিত কক্সবাজারের বিজয় মেলা Dec 19, 2025
img
সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি: প্রধান উপদেষ্টা Dec 19, 2025
img
হাদির ঘটনার প্রতিবাদে বেনাপোল টু বর্ডার লংমার্চ Dec 19, 2025
img
দেশে গণতন্ত্রের যাত্রা ব্যাহত করতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে ফ্যাসিস্ট সরকার: সালাহউদ্দিন Dec 19, 2025