দেশে বর্তমানে রাজনীতির দুর্ভিক্ষ চলছে : রনি

দেশে বর্তমানে রাজনীতির দুর্ভিক্ষ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এই মুহূর্তে মব সংস্কৃতি, মব সন্ত্রাস নামে যা কিছু হচ্ছে, এটি মূলত রাজনীতির দুর্ভিক্ষের কারণে। রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় একটি সমাজের কর্তৃত্ব বজায় রাখে। তবে রাজনৈতিক দল যদি সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভারসাম্য রক্ষা করে তখন এই ভারসাম্যটা থাকে না এবং কোনো রাজনৈতিক দল যখন রাষ্ট্র ক্ষমতাতে এসে স্বৈরাচারী আচরণ করে তখন তাদের মধ্য থেকে হিটলার তৈরি হয়।


রনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৫ বছরের যে কর্তৃত্ববাদী শাসন, সেই শাসনে দেশের যেসব রাজনৈতিক দলগুলো ছিল এটা নিঃসন্দেহে ভেঙে গিয়েছে।

যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল জামায়াত-বিএনপি; এই দলগুলো বিশেষ করে এই দুটো দল এবং একই সঙ্গে শেখ হাসিনার সঙ্গে যারা ছিলেন জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি— এই দলগুলো তাদের ব্যক্তিত্ব হারিয়েছিল এবং অতিমাত্রায় ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল এবং অতিমাত্রায় সরকার নির্ভর হয়ে পড়েছিল। ফলে রাজনীতির ময়দানে যে কলরব থাকা দরকার সেটি ছিল না।’

‘এর পরিণতিতে এখন রাজনীতিতে যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ চলছে, সেই দুর্ভিক্ষের কারণে সব রাজনৈতিক দলগুলো রীতিমতো দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ঘোরাফেরা করছে।

আজকের দিনের যে বাস্তবতা সেখানে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং চার নম্বর রাজনৈতিক দল হলো জামায়াত। আর এনসিপিকে যদি আপনি রাজনৈতিক দল হিসেবে ধরেন আপনারা হয়তো ধরতে পারেন, কিন্তু ভোটের রাজনীতিতে তারা এখনো কোনো নম্বরের মধ্যে পড়েনি। তাদের অবস্থান ধরুন গণ-অধিকারের নুরুল হক নুরুর যে অবস্থান কিংবা ববি হাজ্জাজ কিংবা জুনায়েদ সাকি এই পার্টিগুলোর মতো।’

‘এমনকি বাসদ কিংবা সিপিবি এই পর্যায়েও এনসিপি এখন পর্যন্ত যেতে পারেনি।

কিন্তু রাজনীতির দুর্ভিক্ষের কারণে আমরা কী মনে করছি? আমরা জামায়াতকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে একেবারে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের চাইতেও কয়েক গুণ বড় করে ফেলেছি। আর এনসিপিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে জামায়াত বড় না এনসিপি বড়, এটা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করছি। এই মানসিকতার কারণে আমরা রাজনীতির কোনো সুষ্ঠু সমাধান দেখতে পাচ্ছি না। রাজনীতি কোন দিকে যাবে এবং কোন পরিণতিতে গিয়ে শেষ হবে এটা কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না।’

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিনিয়োগকারীদের একটা কনফিডেন্স বুস্টার: বিডা চেয়ারম্যান Dec 29, 2025
img
শীতে কাঁপছে নওগা, তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে Dec 29, 2025
img
নতুন গবেষণা প্রকাশ, ভিটামিন সি গ্রহণের বড় সুফল Dec 29, 2025
img
সারাদেশে ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু Dec 29, 2025
img
৩০ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ অভিভাষণ দিবেন প্রধান বিচারপতি Dec 29, 2025
img
চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ Dec 29, 2025
img
দুই ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেল টটেনহ্যাম Dec 29, 2025
img
তাইওয়ানকে ঘিরে বড় সামরিক মহড়ার ঘোষণা চীনের Dec 29, 2025
img
শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন পেলেন বিএনপির আরেক নেতা Dec 29, 2025
img
পাকিস্তানি উপস্থাপিকার প্রশ্নে বিস্মিত পলাশ Dec 29, 2025
img
১৩ হাজারের বেশি বিদেশিকে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব Dec 29, 2025
img
নিউজিল্যান্ড সফরে বিশ্রামে বুমরাহ ও হার্দিক Dec 29, 2025
img
ফরিদপুর-১ আসনে ধানের শীষ না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন বিএনপি নেতা ঝুনু Dec 29, 2025
img
বিয়ে ভাঙ্গার কষ্ট ভুলে মাঠে ইতিহাস রচনা স্মৃতির Dec 29, 2025
img
নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় দুদক, টাস্কফোর্স কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত Dec 29, 2025
img
আতালান্তাকে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠলো ইন্টার মিলান Dec 29, 2025
img
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পিকআপ উল্টে আহত ৯ Dec 29, 2025
img
চোটে ছিটকে গেলেন ইংল্যান্ডের আরেক পেসার Dec 29, 2025
img
আওয়ামী লীগের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন হচ্ছে: জিএম কাদের Dec 29, 2025
img
মেক্সিকোতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ১৩ জনের Dec 29, 2025